বিজেপি-র কেন্দ্রীয় টিমকেও সন্দেশখালিতে যেতে বাধা দিল পুলিশ, অবস্থান-বিক্ষোভ
পুলিশি বাধার পর অবস্থানে কেন্দ্রীয় টিম (নিজস্ব চিত্র)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার সন্দেশখালির (Sandeshkhali) পথে কেন্দ্রীয় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। নিরাপত্তার স্বার্থে নস্কর পাড়াতেই আটকে দেওয়া হয় তাদের। তারই প্রতিবাদে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার কলকাতায় আসেন কেন্দ্রীয় টিমের সদস্যরা। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার নির্দেশে ইতিমধ্যেই গঠিত হয়েছে ছয় সদস্যের বিশেষ এই টিম। এই টিমের এদিন সন্দেশখালিতে পৌঁছে পরিস্থিতি অনুসন্ধান করার কথা ছিল। কিন্তু রামপুরের কাছেই নস্কর পাড়ায় আটকে দেওয়া হয় তাদের।
গত সপ্তাহে দফায় দফায় অশান্তির ঘটনা ঘটেছিল সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali)। সেসময় স্থানীয় মহিলাদের একাংশ দাবি করেছিলেন, দিনের পর দিন তাঁদের ওপর যৌন নির্যাতন হয়েছে। মহিলাদের ওপর সেই নির্যাতনের অভিযোগ সংবাদ মাধ্যমে দফায় দফায় উঠে এসেছে। সেখানে সংসদীয় দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় বিজেপি। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার গড়ে দেওয়া ওই উচ্চপর্যায়ের অনুসন্ধান কমিটি শুক্রবার সন্দেশখালি রওনা দেয়। প্রতিনিধিদলে রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী ও প্রতিমা ভৌমিক, তিন সাংসদ সুনীতা দুগ্গল, কবিতা পাতিদার, সংগীতা যাদব ও রাজ্যসভা সাংসদ ও উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন ডিজিপি ব্রিজলাল। তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক ও বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল। ঠিক ছিল,এই প্রতিনিধিদল সন্দেশখালির মহিলা ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন। তাঁদের অভিযোগের কথা শুনবেন। এরপর জেপি নাড্ডার হাতে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা তাঁদের রিপোর্ট তুলে দেবেন। কিন্তু, শুক্রবার ওই কেন্দ্রীয় টিমকে সন্দেশখালি যাওয়ার পথে রামপুর নস্করপাড়ায় আটকে দেওয়া হয়। চারজনের প্রতিনিধিকে যাওয়ার অনুমতি চাওয়া হয়। কিন্তু, পুলিশ অনুমতি দেয়নি। এরপরই পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় টিমের সদস্যদের প্রথম বচসা হয়। পরে, ধস্তাধস্তি হয়। সেখানেই অবস্থান বিক্ষোভে বসেন সেন্ট্রাল টিমের সদস্যরা।
কেন্দ্রীয় টিমের সদস্য তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী বলেন, পুলিশের যে ভূমিকা আমরা এখানে এসে দেখছি, সেই সক্রিয়তা শাহজাহানকে গ্রেফতারির ক্ষেত্রে পুলিশ দেখাত, তাহলে এই সময় আর আসত না। কেন্দ্রীয় টিমের সঙ্গে এসেছেন বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল। তিনি বলেন, গায়ের জোরে আটকানো হচ্ছে। তৃণমূলের মন্ত্রীরা যেতে পারবেন। আর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা যেতে পারবে না। এটাই হচ্ছে বাংলা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।