WBCHSE: নিস্তার নেই গরম ও পুজোর ছুটিতেও! উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য জারি নয়া নির্দেশিকা
সংগৃহীত চিত্র
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরমের ছুটি হোক কিংবা পুজোর ছুটি। ছাত্র ছাত্রী থেকে শুরু করে শিক্ষক শিক্ষিকা-সকলের অপেক্ষায় থাকে বছরের এই দুটি সময়ের জন্য। যে সময় পড়াশোনা থেকে ছুটি পেয়ে সকলেই নিজের মত করে সময় কাটায়, অথবা ঘুরতেও যায়। কারন বছরের এই সময়টাতেই প্রায় একটানা অনেকগুলো দিন ছুটি পাওয়া যায়। তবে এবার থেকে আর নিস্তার নেই গরম ও পুজোর ছুটিতে। গরমের ছুটি হোক বা পুজোর ছুটি, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের এ বার করাতে হবে ক্লাস। তবে স্কুলে গিয়ে নয়, ক্লাস হবে অনলাইনে (Online classes)। সম্প্রতি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের (WBCHSE) তরফ থেকে দেওয়া বার্ষিক কর্মসূচি তালিকায় এমনই উল্লেখ করা হয়েছে।
দেখা যায় দুর্গাপুজো কেটে যাওয়ার পর লক্ষ্মী পুজো থেকে কালীপুজো পর্যন্ত একটা লম্বা ছুটি থাকে। বিশেষত এই সময় যাতে অনলাইনে ক্লাসগুলি (Online classes) করানো যায় তার জন্য স্কুল গুলির কাছে আবেদনে জানিয়েছে শিক্ষা সংসদ। কারণ এই সময় প্রায় ১২ থেকে ১৩ দিনের একটানা ছুটি থাকে। মূলত দীর্ঘ গরমের ছুটি বা পুজোর টানা ছুটি যাতে সিলেবাস শেষের পথে বাধা না হয়ে ওঠে তাই জন্যই শিক্ষা সংসদের তরফে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের (WBCHSE) সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ্যক্রমে মাধ্যমিকের তুলনায় বিষয় সংখ্যা অনেক বেশি। সেমেস্টার পদ্ধতিতে প্রথম পরীক্ষা হবে সেপ্টেম্বর মাসে। সময়ের মধ্যে পাঠ্যক্রম শেষ না হলে ছাত্রছাত্রীরা কী ভাবে শিখবে? পরীক্ষাই বা দেবে কী করে? তাই ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থে সুবিধা মতো অনলাইন ক্লাস (Online classes) নেওয়ার কথা বলা হয়েছে স্কুলগুলিকে।”
শিক্ষা সংসদের তরফ থেকে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে রাজ্যের সমস্ত উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির বার্ষিক কর্মসূচির সবিস্তার তালিকা পাঠানো হয়েছে। আর তাতে সব থেকে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে ‘টিচিং লার্নিং-এর’ উপর। সেই সূত্রেই ছুটি চলাকালীন অনলাইন ক্লাসের (Online classes) কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে তা বাধ্যতামূলক নয়। স্কুলগুলি চাইলে এই ক্লাস করাতে পারে।
আরও পড়ুন: ৫২৫০ নাকি ৮৮৬১! এসএসসি দুর্নীতিতে অযোগ্য প্রার্থী কতজন? সুপ্রিম কোর্টে সংখ্যা বদল কমিশনের
উল্লেখ্য এ বছর থেকে চালু হয়েছে সেমিস্টার পদ্ধতি। প্রথম সেমিস্টারের জন্য ১০০ ঘন্টা আর দ্বিতীয় সেমিস্টারের জন্য ৮০ ঘন্টা দেওয়া হয়েছে স্কুলগুলিকে। অর্থাৎ প্রত্যেক বিষয় ভিত্তিক ১৮০ ঘণ্টা করে 'কন্টাক্ট আওয়ার' ধার্য করা হয়েছে। এছাড়াও ২০ ঘন্টা দেয়া হয়েছে হোম অ্যাসাইনমেন্ট, টিউটোরিয়াল এবং রেমেডিয়াল ক্লাসের জন্য। যদিও স্কুলগুলোর জন্য এই নিয়ম (Online classes) বাধ্যতামূলক নয়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।