img

Follow us on

Friday, Nov 22, 2024

Heat Wave: গ্রীষ্মের প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে হরিণ ও ময়ূরকে দেওয়া হচ্ছে ওআরএস এবং গ্লুকোজ, কোথায় জানেন?

বর্তমানে সেখানে মোট ৯৬ টি চিতল হরিণ রয়েছে, ময়ূরের সংখ্যা শতাধিক ছাড়িয়েছে

img

জঙ্গলের হরিণদের জন্য বিশেষ পানীয় জলের ব্যবস্থা। নিজস্ব চিত্র

  2023-04-23 14:00:48

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এপ্রিল মাস পড়তে না পড়তেই শুরু হয়েছে গ্রীষ্মের প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ (Heat Wave)। প্রখর রোদে পুড়ছে বঙ্গবাসী। তবে এই তীব্র তাপপ্রবাহ কেবল মানবজীবনেই প্রভাব ফেলেছে তা নয়, নাজেহাল অবস্থা পশুপাখিদেরও। তাই এই আবহাওয়া থেকে কাঁকসার দেউলের জঙ্গলে হরিণ ও ময়ূরদের রক্ষা করতে বন দফতর বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে৷ সকাল থেকেই রোদের তেজ তীব্র গতিতে বাড়তে থাকার পাশাপাশি হরিণ ও ময়ূরদের ওআরএস ও গ্লুকোজ খাওয়ানো হচ্ছে। এছাড়াও তাদের শরীরের জলশূন্যতা রুখতে ও সুস্থ রাখতে খাওয়ানো হচ্ছে টাটকা শাকসবজি, আখের গুড়, ভেজানো ছোলা, বিটনুন ও ভূষি। পাশাপাশি তাদের ওপর সারাক্ষণ বনকর্মীদের দিয়ে চলছে বিশেষ নজরদারি। দুর্গাপুর বন দফতরের এমনই দাবি।

ঠিক কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে বন দফতর?

বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৯২ সালে গৌরাঙ্গপুর গ্রামের দেউলের জঙ্গলে হরিণ ও ময়ূরের জন্য সংরক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়। এটি শিবপুর বিট অফিসের আওতাধীন। সেখানকার বিট অফিসার অনুপকুমার মন্ডল সহ প্রায় ১৮ জন বনকর্মী হরিণ ও ময়ূরের দেখভাল করেন। বর্তমানে সেখানে মোট ৯৬ টি চিতল হরিণ রয়েছে। যার মধ্যে সদ্যোজাত প্রায় ৭ টি হরিণশাবকও রয়েছে। এছাড়াও ময়ূরের সংখ্যা শতাধিক ছাড়িয়েছে। যদিও ময়ূরের বংশবিস্তার শুধুমাত্র সংরক্ষণ কেন্দ্রের মধ্যে আর থেমে নেই। কাঁকসার জঙ্গলমহলের লোকালয়েও ময়ূর ছড়িয়ে গিয়েছে। প্রায় ৮ মাস ধরে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় ওই সংরক্ষিত এলাকার শাল-পিয়ালের জঙ্গলের সবুজায়ন হারিয়েছে। বসন্তকালের শুরুতেই সমস্ত গাছের পাতা ঝরে গেলেও বৃষ্টিপাতের অভাবে নতুন করে পাতা এখনও তেমনভাবে গজিয়ে ওঠেনি। পাশাপাশি সংরক্ষিত এলাকায় ঘাস সহ ঝোপঝাড় গজিয়ে না ওঠায় হরিণের খাবারের অনেকটাই ঘাটতি দেখা গিয়েছে। চড়া রোদের তাপ (Heat Wave) ও লু থেকে হরিণ সহ ময়ূরের অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা থাকায় বন দফতর তড়িঘড়ি তাদের স্বাস্থ্যের ওপর নজর দিয়েছে। পশু চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওআরএস ও গ্লুকোজ তাদের খাবারের জলে মেশানো হচ্ছে। এছাড়াও ভেজানো ছোলা ও আখের গুড় খাওয়ানো হচ্ছে। গাজর সহ টাটকা শাকসবজি ও গাছের কচি পাতা সংগ্রহ করে দেওয়া হচ্ছে।

কী জানাচ্ছেন বন দফতরের আধিকারিকরা?

বন দফতরের দুর্গাপুর রেঞ্জ অফিসার সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যে হারে দাবদাহ (Heat Wave) বেড়ে চলেছে এপ্রিলের শুরু থেকেই, তাতে সংরক্ষিত হরিণ ও ময়ূরগুলিকে সুস্থ রাখতে আমরা ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। প্রতিদিন প্রায় ২০ প্যাকেট ওআরএস দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি গ্লুকোজ থেকে গুড়, ছোলা, শাকসবজিও দেওয়া হচ্ছে। পশু চিকিৎসকের পরামর্শমতো আগামী মে ও জুন মাস পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে দেওয়া হবে। যাতে এই তীব্র তাপপ্রবাহে তারা অসুস্থ না হয়ে যায়। দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় জঙ্গলে গাছের পাতা ও ঘাস তেমনভাবে এখনও গজিয়ে উঠতে পারেনি। আমরা গাছের কচি পাতা সংগ্রহ করে হরিণগুলিকে দিচ্ছি। পাশাপাশি ময়ূরকে গম দেওয়া হয় সারা বছর। এখনও পর্যন্ত কোনও হরিণ অসুস্থ হয়নি। তাদের ওপর সর্বক্ষণ বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Tags:

Madhyom

Heat Wave

bangla news

Bengali news

forest

deer

peacock

ORS

Glucose


আরও খবর


ছবিতে খবর