ইসলামপুরের অনুজ নন্দীর ক্যামেরার তোলা ছবি দেখল গোটা বিশ্ব!
পরিবারের সঙ্গে বিজ্ঞানী অনুজ নন্দী (নিজস্ব চিত্র)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) চাঁদের মাটিতে পা রাখার সাফল্যে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের বাসিন্দারা একটু বেশি উচ্ছ্বসিত। কারণ, চন্দ্রযান-৩ এর ক্যামেরার ডিজাইন করেছেন উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের আশ্রমপাড়ার বাসিন্দা বিজ্ঞানী অনুজ নন্দী। অনুজ নন্দীর ক্যামেরার তোলা ছবি দেখল গোটা বিশ্ব। অনুজের এই সাফল্যে গর্বিত গোটা ইসলামপুর তথা জেলাবাসী।
চন্দ্রযান-৩ চাঁদের মাটিতে পা রাখার পর ছেলের সঙ্গে কী কথা হল মায়ের? (Chandrayaan 3)
বুধবার চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) চাঁদের মাটিতে পা রাখার আগে কোথাও দেখা গিয়েছে মানুষ প্রার্থণা করছেন, কোথাও বা হয়েছে হোম-যজ্ঞ। আবার কোথাও দেখা গেছে মানুষ টিভির পর্দায় নজর রেখেছেন। তবে, চন্দ্রযান-৩ এর সাফল্যের সাথে চাঁদে অবতরণ দেখতে সকাল থেকেই টিভির পর্দায় নজর রেখেছিলেন অনুজের পরিবারও। ভারতের এই ঐতিহাসিক সাফল্যকে সরাসরি দেখে এবং এই সাফল্যের পিছনে যারা রয়েছেন তাদের একজন যে তাঁদের পরিবারের ছেলে তা ভেবেই আনন্দাশ্রু গোটা নন্দী পরিবারের চোখে। চন্দ্রযান চাঁদের মাটিতে পা রাখার পর শুধু অনুজের পরিবারই নয়, পাড়া-প্রতিবেশী থেকে শুরু করে গোটা ইসলামপুরবাসীর কাছেই এটা গর্বের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইসরোর বিজ্ঞানী অনুজ নন্দীর মা শোভারানি নন্দী বলেন,'অনেকদিন পর ছেলের সঙ্গে কথা হল। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ ছেলের সঙ্গে ফোনে কথা হয়। সৌজন্য বিনিময়ের পরই চন্দ্রযান-৩ নিয়ে কথা হল। চাঁদের মাটিতে পা রাখল চন্দ্রযান। আর এই সাফল্য তার কথাতে বার বার ফুটে উঠছিল।'
প্রতিবেশীদের কী বক্তব্য?
পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ইসলামপুর হাইস্কুলে পড়াশুনা শেষ করার পর রায়গঞ্জ কলেজে বিজ্ঞান নিয়ে স্নাতক হন অনুজ। এরপরই আর পিছনে তাকাতে হয়নি তাঁকে। বেঙ্গালুরুর ইসরোতে গত আট বছর ধরে কাজ করছেন এই বাঙালি বিজ্ঞানী। সঞ্জয় দত্ত নামে এক প্রতিবেশী বলেন, 'এটা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। অনুজ নন্দী একজন সাধারণ ঘরের ছেলে হয়ে আজ এমন একটা জায়গায় পৌঁছেছে, যা কিনা গোটা ইসলামপুর তথা পশ্চিমবঙ্গের নাম গোটা বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছে। আমরা খুবই আনন্দিত।"
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।