সুখবর! পদ্মার ইলিশের জন্য আর কয়েকদিনের অপেক্ষা
প্রতীকী ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষা শেষের দিকে। অথচ এবছর তেমন ইলিশের (Hilsa Fish) দেখাই নেই। বাংলাদেশের পদ্মার ইলিশ সরকারি নিষেধাজ্ঞার কারণে এ রাজ্যে ঢোকে না। প্রতি বছর পুজোর আগে বাংলাদেশ সরকার উপঢৌকন হিসেবে কিছু ইলিশ পাঠায়। তার আগেই ইলিশের সাধ পূরণে একমাত্র ভরসা থাকে সমুদ্রের ইলিশ। তবে হাওড়ার পাইকারি মাছ বাজারের ব্যবসায়ীরা পুজোর আগে শুনিয়েছেন সুখবর। আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। এরপরেই বাংলায় ঢুকছে পদ্মার রুপোলি ইলিশ। পুজো আর মাত্র দেড় মাস বাকি। তার আগে কলকাতার বাজারে আসছে পদ্মার ইলিশ। মৎস্য ব্যবসায়ীদের আশা, সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকেই কলকাতার বাজারে পাওয়া যাবে রুপোলি ইলিশ।
কী জানালেন আমদানির (Hilsa Fish) সঙ্গে যুক্ত সংগঠনের কর্মীরা?
কলকাতার ফিস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্মীরা জানিয়েছেন, গত ৪ বছর বাংলাদেশের সরকার পুজোর উপহার হিসাবে কলকাতায় পদ্মার ইলিশ পাঠায়। এ বছরেও পূজোর আগে যাতে সেই ইলিশ ঢোকে, সে ব্যাপারে এপারের ব্যবসায়ীরা সরাসরি যোগাযোগ করেন বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রক এবং কলকাতার বাংলাদেশ দূতাবাসে। ওই মাছ ব্যবসায়ী সংগঠনের সচিব সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ জানিয়েছেন, তাঁরা বাংলাদেশ সরকার এবং ওই দেশের এক্সপোর্টারদের কাছে আগেই আবেদন জানিয়েছেন। আশা করা যায় ১৫ ই সেপ্টেম্বরের মধ্যে অনুমতি পাওয়া যাবে। তার পরের দিন থেকেই এপারে চলে আসবে পদ্মার টাটকা ইলিশ (Hilsa Fish)। তিনি আরও বলেন, প্রথম দিকে চাহিদার জন্য মাছের দাম একটু বেশি হতে পারে। এক কিলো সাইজের ইলিশ পাইকারি বাজারে ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা পর্যন্ত উঠতে পারে। পরে অবশ্য দাম কমতে পারে। তখন এক কিলো সাইজের মাছ ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
কী বলছেন মাছ (Hilsa Fish) বিক্রেতারা?
মাছ বিক্রেতারা জানান, ২০১২ সালে বাংলাদেশ সরকার এদেশে ইলিশ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ৬ বছর এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ ছিল। ২০১৯ সাল থেকে ফের বিশেষ অনুমতির ভিত্তিতে ইলিশ এ দেশে আমদানি শুরু হয়। কিন্তু যে পরিমাণ ইলিশ (Hilsa Fish) আমদানিতে অনুমতি দেওয়া হয়, তা এক মাসে নিয়ে আসা সম্ভব হয় না। সেই কারণে এবারে তাঁদের পক্ষ থেকে আমদানির সময়কাল ৩০ দিনের পরিবর্তে ৬০ দিন করার অনুরোধ জানানো হয়েছে বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রকে। এর ফলে কলকাতার বাজারে বেশি পরিমাণ ইলিশ আমদানি করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
গত বছর ২৯৯০ মেট্রিক টন ইলিশ আমদানিতে অনুমতি পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু এতটাই কম সময় দেওয়া হয়েছিল যে সময়ের অভাবে মাত্র ১৩০০ মেট্রিক টন ইলিশ কলকাতায় আনা গিয়েছিল। একইভাবে ২০২১ সালে ৪৬০০ মেট্রিক টন ইলিশ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেবারও মাত্র এক মাস সময় দেওয়া হয়৷ এর ফলে সেবছর মাত্র ১৩০০ মেট্রিক টন ইলিশ (Hilsa Fish) আমদানি করা গিয়েছিল। তাই ব্যবসায়ীরা চাইছেন বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় আমদানির সময়সীমা বাড়ানো হোক।
হাতে মাত্র কটা দিন বাকি। এরপরই কলকাতার বাজারে পাওয়া যাবে পদ্মার রুপোলি শস্য। আর এখন সেই দিকেই তাকিয়ে আছেন খাদ্যরসিক বাঙালি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।