Civic Volunteer: শ্লীলতাহানির ঘটনায় অভিযুক্ত পার্কস্ট্রিট থানার সাব-ইন্সপেক্টর, কী ব্যবস্থা নিল লালবাজার?
তরুণী সিভিকের শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার পার্কস্ট্রিট থানার এসআই (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্ক স্ট্রিট (Park Street) থানায় কর্মরত মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারের শ্লীলতাহানি করার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন এক সাব ইন্সপেক্টর। ধৃতের নাম অভিষেক রায়। তিনিও পার্ক স্ট্রিট থানায় কর্মরত রয়েছেন। রবিবার অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরই ওই পুলিশ অফিসারকে ক্লোজ় করে দেয় লালবাজার। শুরু হয় তদন্ত। তার পরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
কয়েকদিন আগেই একটি অভিযোগপত্রে মহিলা সিভিক (Civic Volunteer) লেখেন, "আমি ২০১৭ সাল থেকে সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করছি। এখন পার্ক স্ট্রিট থানার (Park Street) অধীনে রয়েছি। চার তারিখ রাত ৯টা থেকে আমি ডিউটি করছিলাম। সে সময়ে ওই অফিসার আমাকে তাঁর গার্ডকে দিয়ে তাঁর রেস্টরুমে ডেকে পাঠান। পার্ক স্ট্রিট থানার তিনতলায় অবস্থিত ওই ঘর। রাত প্রায় ১টা ১০ নাগাদ আমি সেখানে যাই, যা ক্যালেন্ডারের হিসেবে ৫ অক্টোবর তারিখ।" চিঠিতে তিনি বলেন, "ওই এসআই অফিসার আমায় পুজোর উপহার হিসেবে একটি নতুন সালোয়ার কামিজ দেন। আমি সেটি নেওয়ার সময়ে তিনি আমার শরীরে অবাঞ্ছিত স্পর্শ করেন। আমি বাধা দিলে তিনি বলেন এটা কোনও ব্যাপার নয়। তিনি আমায় মৌখিকভাবে সান্ত্বনা দেওয়ারও চেষ্টা করেন। কিছুক্ষণ পরে আমি আমার ছোট ভাইকে ফোন করি এবং সে কিছুক্ষণের মধ্যে চলে আসে। একটি ডায়েরি করতে চাই। কিন্তু ডিউটি অফিসার রণবীর দাস আমার অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেন। আমায় বলা হয় থানাতেই কথা বলে মিটিয়েনিতে। ঘটনাটি এড়িয়ে যেতে।" চিঠিটি রাজ্যের মুখ্যসচিব, পুলিশ কমিশনার, জয়েন্ট পুলিশ কমিশনার, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার ও পার্ক স্ট্রিট থানার ওসি- কে পাঠানো হয়েছে। এখানেই শেষ নয়। ওই মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারের দাবি, এর আগেও এমন ঘটনা তাঁর সঙ্গে ঘটিয়েছেন অভিযুক্ত ওই অফিসার। তিনি লিখেছেন, "এর আগেও ১৫ সেপ্টেম্বর তারিখে দুপুর দেড়টা নাগাদ মদ্যপ অবস্থায় তিনি পার্ক স্ট্রিট থানার কম্পিউটার রুমে আমার সঙ্গে একই ঘটনা ঘটিয়েছিলেন।" ওই মহিলা আরও লিখেছেন, যে এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত তিনি কোনও ডিউটি পালন করবেন না। নিচুতলার কর্মীর সঙ্গে ওই অফিসার যে আচরণ করেছেন, তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো তাঁর নৈতিক দায়িত্ব বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। এই চিঠিকে এফআইআর হিসেবে দায়ের করে পদক্ষেপ করার অনুরোধ করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: জয়নগরে জুনিয়র-সিনিয়র জাক্তার থেকে আইনজীবীর প্রতিনিধিরা, সিবিআই চাইছে পরিবার
অভিযোগ পাওয়ার পরেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় লালবাজার। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বিভাগীয় (Park Street) তদন্ত শুরু হয়। তাঁকে বসিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। তখনই আভাস দেওয়া হয়েছিল, যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয় তবে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। সোমবার সকালে ওই এসআই-কে গ্রেফতার করা হয়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।