এদিন এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির মিডলম্যান প্রসন্ন রায়ের আরও সম্পত্তির হদিশ মিলেছে
পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ মামলায় ফের জেল হেফাজত পার্থ-অর্পিতার। বুধবার যে কোনও মূল্যে জামিন চেয়েছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী। শারীরীক অসুস্থতার কথা বলেছিলেন বারবার। কিন্তু আদালত তাতে আমল দিতে নারাজ। এদিন ফের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। তাঁকে ফের ১৪দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। এদিন কোর্টে এসে নয়, জেল থেকে ভার্চুয়ালিই শুনানি হয় পার্থ-অর্পিতার। আদালত এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেয় জেলে তাঁদের কোনও মৌলিক অধিকার খর্ব হয়নি। যে কোনও শর্তে জামিনের আবেদন পার্থর, খারিজ আদালতের।
এদিন আদালতে ভার্চুয়াল হাজিরার বিরোধিতা করে পার্থর আইনজীবী জানান, ‘আমার মক্কেলের শারীরিকভাবে হাজিরা দেওয়ার মৌলিক অধিকার রয়েছে।' তবে, ভার্চুয়ালিই শুনানি হবে পার্থ-অর্পিতার, বলে জানিয়ে দেয় আদালত। তারপর যে কোনও শর্তে জামিন চান পার্থ। তাঁর আইনজীবী জানান, ‘প্রয়োজনে একা পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বাড়িতে রাখুন পুলিশি নজরদারিতে।' তিনি আরও বলেন, ‘অপা ইউটিলিটি সার্ভিসেসের অংশীদার ছিলেন না পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এসএসসি বোর্ডের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন না। তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। বিভিন্ন রকম শারীরিক অসুস্থতা রয়েছে তাঁর। চিকিৎসারও প্রয়োজন রয়েছে।'
আরও পড়ুন: গরুপাচার মামলায় এবার সিবিআই- এর হাতে গ্রেফতার অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর
অন্যদিকে ইডির আইনজীবী জানান, পার্থর নতুন আরও ৩০টি অ্যাকাউন্টের হদিশ পেয়েছে ইডি। মোট ১০০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। সেই সব অ্যাকাউন্টের লেনদেন খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। তাই পার্থকে জেল হেফাজতে রেখে সওয়াল করতে চায় ইডি।
অন্যদিকে, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) মিডলম্যান প্রসন্ন রায়ের আরও সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। বুধবার সকালে নিউটাউনের মহিষবাথান লোহারপুলের কাছে 'মারলিন' অভিজাত আবাসনের এক ফ্ল্যাট হানা দেয় সিবিআই (CBI)। প্রায় তিন ঘণ্টা চলে তল্লাশি। কার নামে কার থেকে কেনা হয়েছে ফ্ল্যাট, প্রসন্নর নামে কেনা হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে সিবিআই। এদিন সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ আবাসনের গেটে পৌঁছে যায় সিবিআই আধিকারিকরা। ফ্ল্যাটের নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে বেশকিছুক্ষণ কথা বলেন। সঙ্গে ছিলেন সিআরপিএফ আধিকারিকরা। যাতে তল্লাশি চালানোর সময় সিবিআইকে বাধার মুখে না পড়তে হয়। এদিকে ফ্ল্যাটের চাবির জন্য প্রায় দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করেন তদন্তকারীরা। পরে মাস্টার কি দিয়ে ফ্ল্যাটের দরজা খুলে ভিতরে ঢোকেন তাঁরা।