এখানেও অর্ধেক সম্পত্তি অর্পিতার নামে।
পার্থ - অর্পিতা
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গেল পার্থ - অর্পিতার (Partha - Arpita)। তবে এবার আর নিজের দেশে নয়, বিদেশে তাঁদের রয়েছে বিশাল সম্পত্তি। এমনটাই ইডি-র চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ডায়মন্ডসিটির ফ্ল্যাট, শান্তিনিকেতনের বাংলো ছেড়ে এবারে তাইল্যান্ডে (Thailand) একটি বিলাসবহুল বাংলো কিনেছেন তাঁরা। আর এখানেও অর্ধেক মালিকানা অর্পিতার নামে।
সম্প্রতি এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam) মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ১৭২ পাতার চার্জশিট জমা দিয়েছে ইডি। ওই চার্জশিট থেকে বিস্ফোরক তথ্য উঠে এসেছে বলে জানা গিয়েছে। চার্জশিটেই ইডি দাবি করেছে যে,তাইল্যান্ডে একটি বাংলো কিনেছেন পার্থ। তদন্তকারীদের অনুমান, তাইল্যান্ডের সম্পত্তিও অপা ইউটিলিটি সার্ভিসের নামেই কেনা হয়েছে। শুধু তাই নয়, তাইল্যান্ডে তাঁরা অনেকবার ঘুরতে যেতেন, এর প্রমাণও আগে পাওয়া গিয়েছে। এবার এই বাংলোর কথা সামনে এসেছে।
আরও পড়ুন: রাজ্যে বাড়ছে নাবালিকা বিয়ে, কন্যাশ্রীর সাফল্য কি শুধুই বিজ্ঞাপনে?
ইডির চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, পার্থর সেল কোম্পানি সিম্বায়োসিস ট্রেডার্স-এর ডিরেক্টর স্নেহময় দত্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরেই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানতে পেরেছে ইডি। স্নেহময় দত্ত তদন্তকারীদের জানিয়েছেন যে ২০১৪-১৫ সালে তাইল্যান্ডের ফুকেট গিয়েছিলেন পার্থ-অর্পিতা। এইচআর অ্যাসোসিয়েশনের নামের এক সংগঠনের তরফে পার্থকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সেখানেই গিয়েছিলেন পার্থ। আর তাঁর সঙ্গী ছিলেন অর্পিতা ও তাঁর সমস্ত খরচ বহন করেন এই মন্ত্রী। এমনকি অপার একসঙ্গে গোয়া যাওয়ার দাবিও করা হয়েছে এই চার্জশিটে।
তবে তাইল্যান্ডের সম্পত্তি নিয়ে পার্থকে জিজ্ঞসাবাদ করা হলে তিনি কিছুই জানাননি। কিন্তু পরে স্নেহময়কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানা যায়, কালো টাকা সাদা করতেই সেল কোম্পানিগুলিকে ব্যবহার করতেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। শুধু তাইল্যান্ড নয়, দুজনে গোয়াও গিয়েছিলেন। আর এই সফরে অপার সঙ্গে ছিলেন স্নেহময়ও। তাঁরও খরচ বহন করেছিলেন পার্থ। তদন্তকারীরা এও জানিয়েছে যে, বিদেশে অপার সম্পত্তি কেনার বিষয়ে স্নেহময়েরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
ফলে এত পরিমাণ সম্পত্তির পরিমাণ দেখে চক্ষু চড়কগাছ তদন্তকারী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষেরও। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য এসেই চলেছে ও একাধিক সম্পত্তিও উদ্ধার হয়েই চলেছে। একদিকে যখন বহুবার জেরা করার পরও পার্থ অর্পিতাকে চেনেন না বলেই দাবি করে এসেছেন, আবার অন্যদিকে তাঁদের সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতার প্রমাণ করার একাধিক তথ্য দিয়ে চলেছে ইডি। ফলে এবার এটাই বোঝা গেল যে, দুর্নীতির টাকাতেই তাইল্যান্ডের বাংলো কেনা হয়েছে।