প্রেসিডেন্সি জেলের পহেলা বাইশ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিবেশী পার্থ, জ্যোতিপ্রিয়, মানিক, জীবনকৃষ্ণ....
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও সুকান্ত মজুমদার (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের পহেলা বাইশ নম্বর ওয়ার্ড যেন এমএলএ ব্লক হয়ে উঠেছে, অন্তত কারারক্ষীদের একাংশ এই সেলকে এমএলএ ব্লক নামেই ডাকছেন (Ration Scam)। নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য, জীবনকৃষ্ণ সাহা আগে থেকেই সেখানে ছিলেন এবার তাঁদের প্রতিবেশী হলেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। প্রসঙ্গত, গত রবিবারই ইডি হেফাজত থেকে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। পহেলা বাইশ নম্বর ওয়ার্ডের ৭ নম্বর সেলে রয়েছেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়। তৃণমূলের মন্ত্রী-বিধায়কদের একই সেলে থাকা নিয়ে কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রীতিমতো জনপ্রিয় গানের প্যারোডিও শোনা গেল রাজ্য বিজেপির প্রধানের কণ্ঠে।
কী বললেন সুকান্ত মজুমদার?
বালুরঘাটের সাংসদ এদিন বলেন, ‘‘চুরিবিদ্যা মহাবিদ্যা যদি না পড় ধরা। ধরা পড়ে গেছ, জেলযাত্রা হবে এটাই তো স্বাভাবিক। জ্যোতিপ্রিয় এবং পার্থ দুজনেই হাতে হাত রেখে গান করুন, এই জেল যদি না শেষ হয়...তবে কেমন হতো তুমি বলতো?’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘এবার থেকে হয়তো রাজ্য সরকারের ক্যাবিনেট মিটিং প্রেসিডেন্সি জেলে অথবা দিল্লির তিহাড়ে হবে।’’
সংশোধনাগার সূত্রে খবর, রবিবার রাতে ব্যাঙ্কশাল কোর্ট থেকে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে (Ration Scam) আসার পরেই অস্থির হয়ে পায়চারি শুরু করেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। জেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা এরপর তাঁর চিকিৎসাও করেন। আদালতে নির্দেশ মতো তাঁকে খেতে হবে জেলের খাবার। অন্যান্য কয়েদিদের মতো জেলের দুটি কম্বলকে বালিশ করে রাতে শুয়ে পড়েন মন্ত্রী। জেলসূত্রে আরও জানা গিয়েছে, সারারাত কার্যত তিনি জেগেই ছিলেন। অন্যদিকে ওই জেলে (Ration Scam) কর্তব্যরত কারারক্ষীদের একাংশ জানিয়েছেন, সোমবার সাত সকালেই নিজের সেল থেকে বেরিয়ে পড়েন বালু। মানিক ভট্টাচার্য এবং জীবনকৃষ্ণ সাহার সঙ্গে বেশ খানিকক্ষণ কথাও বলেন তিনি। আবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সেলের কাছে গিয়েও তাঁর সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় জ্যোতিপ্রিয়কে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।