img

Follow us on

Sunday, Oct 06, 2024

Partha Chatterjee: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ ইডি-র, জানেন কী?

কোনও কোনও ক্ষেত্রে টাকার অঙ্ক ছুঁয়েছে ১৫ লক্ষ পর্যন্ত...

img

ফাইল ছবি।

  2022-12-02 12:53:06

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় ফের বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ ইডির (ED)। কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার দাবি, বেসরকারি কলেজগুলিকে ‘নো অবজেকশন’ কিংবা অনুমোদন দেওয়ার জন্যও টাকা নেওয়া হত। ইডির দাবি, কলেজ পিছু ১০ থেকে ১২ লক্ষ করে টাকা নেওয়া হত। কোনও কোনও ক্ষেত্রে টাকার অঙ্ক ছুঁয়েছে ১৫ লক্ষ পর্যন্ত।

ইডির দাবি...

প্রাইভেট ট্রেনিং কলেজের পর প্রাইভেট ল’ কলেজ ও ফার্মাসি কলেজ অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রেই নেওয়া হয়েছে ওই পরিমাণ টাকা। ইডির একটি সূত্রের খবর, কলেজ পিছু আসা টাকা ভাগ হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও মানিক ভট্টাচার্যের মধ্যে।   ইডির আরও দাবি, অনুমোদনের ক্ষেত্রে একটি ল’ কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবেও প্রভাব খাটিয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। প্রসঙ্গত, কোনও বেসরকারি ল’ কলেজ বা ফার্মাসি কলেজ খোলার ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় শিক্ষা দফতরের নো অবজেকশন সার্টিফিকেট। তদন্তকারীদের অনুমান, সেই বিষয়টিই মাথায় রেখে কাজ করে গিয়েছে পার্থ-মানিক জুটি। জানা গিয়েছে, যখন টাকার বিনিময়ে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দেওয়া হত, তখন তা দেওয়ার জন্য পার্থকে (Partha Chatterjee) সুপারিশ করতেন মানিক। কেবল তাই নয়, মধ্যস্থতাকারীর উপস্থিতির খোঁজও মিলেছে। ইডির দাবি, প্রসন্ন রায়ের মতো মধ্যস্থতাকারী ছিলেন। তিনি মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ। সেই মধ্যস্থতাকারীকে চিহ্নিত করে তলব করা হতে পারে বলেও ইডি সূত্রে খবর। ইতিমধ্যেই সেই সব কলেজ চিহ্নিতকরণের কাজও শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন: বেসরকারি কলেজে অনুমোদন থেকে কোটি কোটি টাকা লেনদেন, পার্থর বিরুদ্ধে আদালতে বিস্ফোরক ইডি

 এদিকে, এখনও পর্যন্ত ২৫টি প্রাইভেট টিচার্স ট্রেনিং কলেজের মালিককে ডেকে বয়ান রেকর্ড করেছে ইডি। তাতে অফ লাইনে রেজিস্ট্রেশনে ঘুষের তথ্য প্রমাণ হাতে এসেছে বলেও দাবি ইডির। প্রাথমিক টেট দুর্নীতি মামলায়ও মানিকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। মানিকের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ অবশ্য এই প্রথম নয়। মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, যাঁরা ডিএলএড প্রশিক্ষণ নিতে চাইতেন, তাঁদের থেকে নিয়মিত টাকা নেওয়া হত। যাঁরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কলেজে নাম নথিভুক্ত করতে পারতেন না, তাঁদের অফলাইনে নাম নথিভুক্ত করার ব্যবস্থা করে দিতেন মানিক। তাপসের দাবি, এভাবে অন্তত ২০ কোটি টাকা তোলা হয়েছিল।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

 

 

 

Tags:

Partha Chatterjee

ED

Bengali news

  Recruitment Scam


আরও খবর


ছবিতে খবর