West Bengal Education: কোন জায়গায় যাচ্ছে রাজ্যের সরকারি শিক্ষার মান...!
প্রতীকী ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকাশিত হল মাধ্যমিক (Madhyamik Results 2023) পরীক্ষার ফল। এদিন সকাল দশটায় পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রকাশ করেন মেধা তালিকা। তাতে দেখা যাচ্ছে চলতি বছরের মাধ্যমিকে ফেল করেছে ১.১ লক্ষ ছাত্রছাত্রী। মাধ্যমিক শুরু হওয়ার সময়ই জানা গিয়েছিল এ বছরের পরীক্ষার্থী সংখ্যাও ব্যাপক কমেছে গতবারের তুলনায়। প্রায় ৪ লক্ষ কমেছে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা। ২০২২ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর (Madhyamik Results 2023) সংখ্যা ছিল ১০ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭৭৫ এবারে সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ লক্ষ ৯৮ হাজার ৯২৮। একে পরীক্ষার্থী কমেছে ৪ লক্ষ, তার ওপর ফেল ১.১ লক্ষ! বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন শিক্ষাবিদদের একাংশ।
পরিসংখ্যান বলছে, শেষবারের মতো মাধ্যমিকের পাশের হার কমেছিল ছয় বছর আগে ২০১৭ সালে। ২০২২ সালের মাধ্যমিকের পাশের হার ছিল ৮৬.৬০ শতাংশ, এ বছরে তা কমেছে ০.৪৫ শতাংশ। দেখা যাচ্ছে মোট ৬ লক্ষ ৮২ হাজার ৩২১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছেন ৫ লক্ষ ৬৫ হাজার ৪২৮ জন। অকৃতকার্য হওয়া ছাত্র ছাত্রীদের নতুন করে পড়াশোনা করতে বলেছেন পর্ষদ সভাপতি কিন্তু এই বিপুল সংখ্যায় ফেল করার কারণ তিনি স্পষ্ট ভাষায় ব্যাখ্যা করতে পারেননি। তাঁর মতে, ‘‘হয়তো পরীক্ষার দিন সেই পরীক্ষার্থীর কোন সমস্যা হয়েছে! বিষয়টি এক এক পরীক্ষার্থীর ক্ষেত্রে এক এক রকম! এটিকে এমন ভাবে বিশ্লেষণ করা যায় না।’’ বিশেষজ্ঞ মহল অবশ্য এ বিষয়ে রাজ্যের সরকারি শিক্ষার ব্যবস্থার বেহাল দশাকেই দায়ী করছেন।
সাধারণ ভাবে প্রতি বছরের পরীক্ষার্থী সংখ্যার হেরফের খুব একটা হয়না। তবে চলতি বছরের মাধ্যমিকে (Madhyamik Results 2023) গত বছরের তুলনায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে প্রায় ৪ লক্ষ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ‘‘রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি আস্থা হারাচ্ছেন অভিভাবকরা। তাই বিপুল সংখ্যায় পরীক্ষার্থী কমতে দেখা যাচ্ছে।’’ তাঁদের আশঙ্কা, আগামী বছরগুলিতে এই সংখ্যা আরও কমবে। অভিভাবক মহলের একাংশের মতে, ‘‘রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার মান যথেষ্ট পড়ে গেছে। তাই বেশিরভাগ জনেরই এখন পছন্দ কেন্দ্রীয় বোর্ডগুলি। ভিড় দেখা যাচ্ছে সিবিএসই, আইসিএসই বোর্ডগুলোতে।’’ এবিষয়ে অভিভাবকদের একাংশের মতামতেই পরোক্ষভাবে সিলমোহর দিতে দেখা গিয়েছে রাজ্য সরকারকে। মাস কয়েক আগে রাজ্য সরকার প্রকাশিত এক রিপোর্টে দেখা গেছিল রাজ্যে বন্ধ হতে চলেছে ৮ হাজারেরও বেশি স্কুল। যারমধ্যে প্রাথমিক স্কুলের সংখ্যাই সর্বাধিক ছিল। তবে হাইস্কুলও ছিল ওই তালিকায়। মূলত ছাত্রের অভাবকেই তখন এর মূল কারণ বলেছিল রাজ্য সরকার। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, ‘‘কেন রাজ্য সরকারের শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে অভিভাবকরা মুখ ফেরাচ্ছেন তার কারণ অনুসন্ধান করা দরকার।’’ নিয়োগ দুর্নীতিও এর একটা বড় কারণ বলে মনে করছেন অভিজ্ঞ মহলের একাংশ। যেভাবে অযোগ্য শিক্ষকরা স্কুলে চাকরিতে ঢুকছেন তাদের হাতে ছাত্রদের দিতে চাইছেন না অনেক অভিভাবক, এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের। অন্যদিকে, জেলাভিত্তিক পাশের হারে দেখা যাচ্ছে সব থেকে এগিয়ে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর যেখানে ৯৬.৮১ শতাংশ পাশ করেছে, সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে জলপাইগুড়ি যেখানে পাশ করেছে ৬৭.৭৩ শতাংশ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।