Calcutta Police Officer arrest: পাসপোর্ট জালিয়াতিকাণ্ডের জাল আরও গভীরে, গ্রেফতার প্রাক্তন পুলিশকর্মী...
গ্রেফতার প্রাক্তন পুলিশ কর্মী আব্দুল হাই। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন ঠিক সর্ষের মধ্যেই ভূত! পাসপোর্ট জালিয়াতিকাণ্ডে (Passport Fraud Case) এবার পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন প্রাক্তন পুলিশ কর্মীই। তদন্তকারী অফিসারদের সূত্রে জানা গিয়েছে, এই জাল পাসপোর্ট তৈরির ঘটনায় বড় মাথা ছিলেন সমরেশ। তাঁর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন প্রাক্তন পুলিশ কর্মী আব্দুল হাই। তদন্তে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের তথ্য উঠে এসেছিল। এখনও পর্যন্ত মোট গ্রেফতারির সংখ্যা দাঁড়াল ৯। জানা গিয়েছে, এই অফিসার কলকাতা পুলিশের (Calcutta Police Officer arrest) সিকিউরিটি কন্ট্রোলের অফিসে কাজ করতেন। গত ৩ ডিসেম্বর রাতে এক অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
পাসপোর্ট জালিয়াতি কাণ্ডে এক প্রাক্তন পুলিশ কর্মীর (Calcutta Police Officer arrest) গ্রেফতারের ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে। কার্যত কুমিরের ছানা যেন শিয়ালের কাছে রাখার মতো শোনাচ্ছে। রক্ষক এখন ভক্ষক। যার হাতে সমাজকে সুরক্ষিত রাখার কথা তিনি এখন জালিয়াতি কারবারের সঙ্গে যুক্ত। জানা গিয়েছে, এই অফিসার এক বছর আগে নিজের কর্মজীবন থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন। হাবড়া থেকে পুলিশ তাঁকে পাকড়াও করেছে। ১৫০টি পাসপোর্টের মধ্যে ৫২টি পাসপোর্টের এনকোয়ারিং অফিসার ছিলেন এই কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন সাব ইন্সপেক্টর আব্দুল হাই। অভিযোগ রয়েছে প্রতি পাসপোর্ট পিছু তিনি ২৫ হাজার করে টাকা নিতেন। মূলত পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের কাজ করতেন এবং এখানেই নিজে টাকার বিনিময়ে বেআইনি কাজ করতেন। এখন এই ধরনের কাজে যদি পুলিশ যুক্ত থাকেন, তাহলে জালিয়াতি কারবার নিয়ে প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদত যে রয়েছে তা আরও একবার প্রমাণিত হয়। এই রাজ্য কি তাহলে জঙ্গিদের জন্য সুরক্ষিত মুক্তাঞ্চল? এই প্রশ্ন এখন সাধারণ মানুষের মনে ঘোরাফেরা করছে।
আরও পড়ুনঃ “একজনের পক্ষে অসম্ভব”, আরজি করকাণ্ডে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে একমত ধৃতের আইনজীবীও!
প্রসঙ্গত এই পাসপোর্ট জালিয়াতি (Passport Fraud Case) মামলায় আগে আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদেরকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমেই প্রাক্তন পুলিশকর্মী আব্দুল হাই-এর (Calcutta Police Officer arrest) নাম পাওয়া গিয়েছে। এই ভূয়ো মামলায় প্রাক্তন পুলিশকর্তা অরিন্দম আচার্য অত্যন্ত উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “অর্থের লোভে সমাজের রক্ষকরা প্রলোভনে পা দিচ্ছেন। টাকা দিয়ে জালিয়াতির কারবার মাকড়সার মতো জাল বিস্তার করেছে। আমাদের রাজ্যের গোয়েন্দাদের চূড়ান্ত ব্যর্থতার পরিণাম। চোরা কারবারিরা একেবারে ভিতরে ঢুকে পড়ছে। তাদের আটকানোর কোনও চেষ্টা রাজ্য সরকার করছে না। প্রশাসন এবং রাজ্য সরকারের বিরাট ভূমিকাকে অস্বীকার করা যাবে না।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।