Police: পাসপোর্ট জালিয়াতিকাণ্ডে প্রাক্তন পুলিশ কর্মী গ্রেফতারের পর এবার নজরে কারা? চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে...
পাসপোর্ট জালিয়াতিতে নজরে পুলিশ কর্মী (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাসপোর্ট জালিয়াতি (Passport Scam) কাণ্ডে ধরা পড়েছেন এক প্রাক্তন পুলিশকর্মী। এবার তদন্তকারীদের নজরে কলকাতা পুলিশের (Police) আরও ৪ জন কর্মী। এমনই দাবি করা হচ্ছে রিপোর্টে। জানা গিয়েছে, স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিমের নজরে থাকা পুলিশকর্মীদের মধ্যে আছেন দুই অফিসার, এক কনস্টেবল এবং একজন হোমগার্ড। এই চারজনের কাছ থেকে পাসপোর্ট কাণ্ডে সক্রিয় থাকা চক্রের আরও তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তাহলে সর্ষের মধ্যেই কি লুকিয়ে রয়েছে সব ভূত?
জানা গিয়েছে, তদন্তকারীদের নজরে (Passport Scam) থাকা পুলিশ অফিসারদের একজন একটি থানায় কর্মরত ছিলেন। এদিকে অপর অফিসার ছিলেন সিকিউরিটি কন্ট্রোল রুমে। এছাড়া যে পুলিশ কনস্টেবলের ওপর সিটের নজর আছে, তিনিও সিকিউরিটি কন্ট্রোলরুমেই কর্মরত ছিলেন। এই তিন পুলিশকর্মী সহ হোমগার্ডকে আপাতত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পাসপোর্ট জালিয়াতি কাণ্ডে এই চার পুলিশকর্মীর ভূমিকা কতটা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দিন দুয়েক আগেই পাসপোর্ট জালিয়াতি কাণ্ডে এক প্রাক্তন পুলিশকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতের নাম আবদুল হাই। কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন সাব ইন্সপেক্টর তিনি। কলকাতা পুলিশের সিকিউরিটি কন্ট্রোলের অফিসেও কাজ করেছেন। উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর থেকে ধরা হয়েছিল তাঁকে। আড়াই বছর কাজ করেছেন পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন অফিসার হিসেবে। সবমিলিয়ে পাসপোর্ট জালিয়াতি কাণ্ডে এখনও ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, পাসপোর্টের কারবারের (Passport Scam) সূত্রেই সমরেশের সঙ্গে পরিচয় হয় আবদুলের। কিছুদিন পর আবদুলকে টাকার টোপ দেন সমরেশ। সেই টোপ গিলেও নেন আবদুল হাই। তার পরই শুরু হয় জালিয়াতির কারবার। পাসপোর্ট কাণ্ডের অন্যতম চক্রী সমরেশ বিশ্বাসের অ্যাকাউন্ট থেকে আবদুল হাইয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে গত কয়েক বছরে গিয়েছে প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা। পাসপোর্ট পিছু ২৫ হাজার টাকা করে নিতেন এই আবদুল হাই। এই আবহে ধৃতকে জেরা করে আর কোন কোন আধিকারিক এই দুর্নীতিতে যুক্ত তা জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, গত কয়েক বছরে ১৫০ জনেরও বেশি অনুপ্রবেশকারীকে ভারতীয় পাসপোর্ট করিয়ে বিদেশে পাঠিয়েছে সমরেশ। তার মধ্যে ৫০টির বেশি পাসপোর্ট তৈরি হয়েছে আবদুল হাইয়ের হাত ধরে। এদিকে পাসপোর্ট জালিয়াতির তদন্তে এই নিয়ে মোট ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে এই চক্রের জাল আরও দূর পর্যন্ত ছড়ানো বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে পাসপোর্টকাণ্ডে ধৃত মূল চার অভিযুক্তের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৫টি মোবাইল ফোন। সেই ফোনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মুছে ফেলা হয়েছে বলে অনুমান পুলিশের। সেই তথ্য ফিরে পেতে ফোনগুলির ফরেন্সিক পরীক্ষা করাতে চান তাঁরা। গোয়েন্দাদের অনুমান, ওই ফোনগুলির তথ্য পাওয়া গেলে ধৃতদের সঙ্গে আর কার কার যোগাযোগ ছিল তা জানা যাবে। পাশাপাশি এই চারজনের কাছ থেকে গোটা চক্রের আরও তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলে তদন্তকারীরা মনে করছেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।