img

Follow us on

Thursday, Nov 21, 2024

National Medical College Hospital: রোগীর আত্মীয়দের বেধড়ক মার পুলিশের, ন্যাশনাল মেডিক্যালে ধুন্ধুমার

Police: অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগে উত্তপ্ত ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ

img

ন্যাশনাল মেডিক্যাল ও হাসপাতাল (সংগৃহীত ছবি)

  2024-07-01 18:52:52

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্যথা কেন সারছে না? প্রশ্ন করায় প্রথমে নার্সের অবাঞ্ছিত ব্যবহার ও পরে রোগী তাঁর পরিবারকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। খাস কলকাতার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ঘটনা (National Medical College Hospital) । অভিযোগ করতে গেলে এফআইআর না নেওয়ার অভিযোগ খোদ পুলিশের বিরুদ্ধে।  অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি করেছে আক্রান্ত পরিবার। খাস কলকাতায় (Kolkata) হাসপাতালের মধ্যেই রোগী ও তাঁর পরিবারকে লাঠিপেটা করার মারাত্মক অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে।  

পুলিশের উপর লাঠিচার্জের অভিযোগ (National Medical College Hospital)  

এক রোগীকে ইঞ্জেকশন দেওয়াকে কেন্দ্র করে বচসার সূত্রপাত। কলকাতার ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (National Medical College Hospital) বাইরে রোগী সুস্থ না হওয়ায় বিক্ষোভ দেখান তাঁর আত্মীয়রা। সংশ্লিষ্ট রোগীর পরিবারের সদস্যদের উপর বেধড়ক লাঠিচার্জ করার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। লাঠি নিয়ে তেড়ে আসতে দেখা যায় সিভিক ভলন্টিয়ারকেও। ঘটনায় হুলস্থুল পড়ে যায় ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ চত্বরে। লাঠিচার্জের ভিডিও ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এনেছেন রোগীর আত্মীয়রা। হাসপাতালে সুপারের কাছে এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। রোগীর শাহনওয়াজ বেগম জানিয়েছেন, তিনি রবিবার বুকে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে দুপুর বারোটা নাগাদ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে এসেছিলেন। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে দেখে বুকে ব্যথার একটি ইঞ্জেকশন লিখে দেন। হাসপাতালে দু-বার ইনজেকশন দেওয়ার পর তৃতীয়বার ইনজেকশন দেওয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পর তাঁর বুকের ব্যথা কমার বদলে আরও বেড়ে যায়। বারংবার ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরেও কেন ব্যথা বেড়ে যাচ্ছে? জিজ্ঞেস করায় নার্স এবং হাসপাতালের অন্যান্য কর্মীরা দুর্ব্যবহার শুরু করেন বলে অভিযোগ। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে হাজির হয় পুলিশ এবং কয়েকজন সিভিক ভলেন্টিয়ার। অভিযোগ তাঁদের টেনে হিঁচড়ে জরুরী বিভাগ থেকে বের করে দেওয়া হয় এবং গালিগালাজ করা হয়। পুলিশের বিরুদ্ধে হেনস্থার  অভিযোগ তুলেছেন রোগী এবং তাঁর আত্মীয়রা। এরপর হাসপাতাল চত্বরে শাহনওয়াজ বেগম এবং তাঁর স্বামীকে বেধড়ক মারধর করে পুলিশ। তাঁর ছেলেকেও লাঠির বাড়ি মারা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার ভিডিও তুলে রাখলে পুলিশ মোবাইল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। ভিডিও করতে বাধা দেয় বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই রোগীর পরিবার যে ভিডিও প্রকাশ্যে এনেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে পুরুষ পুলিশকর্মী লাঠির বাড়ি মারছেন এক ব্যক্তিকে। তাঁকে বাঁচাতে মহিলারা এগিয়ে গেলে তাঁদের লাঠির আঘাত লাগে।

পুলিশের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ার অভিযোগ  

রোগীর পরিবারের আরও অভিযোগ তাঁরা বিষয়টি নিয়ে থানায় গিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ তাঁদের অভিযোগ গ্রহণ না করে ফিরিয়ে দিয়েছে। এমনকি এফআইআর তো দুর-অস্ত, জিডিও নেওয়া হয়নি। রোগীর ছেলে মোহাম্মদ শাহাদাত বলেন, “আমরা থানায় গিয়েছিলাম। লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু অভিযোগ নেওয়া হয়নি। উল্টে আমাদের একটা কাগজে সই করিয়ে নেওয়া হয়েছে। আমাকে, আমার মা, বাবা সকলকে মারধর করা হয়েছে। সাহায্যের জন্য আমরা আত্মীয়দের হাসপাতালে ডাকি। পুলিশ তাঁদের সাথেও খারাপ আচরণ করে। আমরা ওই পুলিশের শাস্তি চাই। হাসপাতালের (National Medical College Hospital) সিসি ক্যামেরা দেখলেই বোঝা যাবে আমরা কিছুই করিনি। তা সত্ত্বেও আমাদের মারধর করা হয়েছে।”

আরও পড়ুন: কোচবিহার-চোপড়া নিয়ে চাপে রাজ্য, বিধানসভায় ধর্না বিজেপির, রিপোর্ট তলব রাজ্যপালের

পাল্টা পুলিশের দাবি, রোগী ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা হাসপাতাল চত্বরে চেঁচামেচি জুড়ে দিয়েছিলেন। তাই তাঁদের শান্ত হতে বলা হয়। কিন্তু ওরা কর্তব্যরত পুলিশের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। পরিস্থিতি সামলাতে ব্যবস্থা নেয় পুলিশ।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Tags:

Madhyom

bangla news

National Medical College Kolkata

NMCH Kolkata

National Medical College and Hospital

Kolkata medical colleges

patient beaten in Kolkata hospital

Kolkata hospitals

Best hospitals in Kolkata

NMCH Kolkata reviews


আরও খবর


ছবিতে খবর