সরকারি স্কুলের ভিতরে মদের বোতল! গোপনে কি তৃণমূল ভোট কেনাবেচা করছে?
বাঁ দিকে নবদ্বীপের সেই স্কুল এবং ডান দিকে স্কুলে পাওয়া মদের বোতল। নিজস্ব চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাতের অন্ধকারে সরকারি স্কুল খুলে তৃণমূলের পতাকা লাগিয়ে চলছে মাংস-ভাত খাওয়া। স্কুল চত্বরে পড়ে রয়েছে মদের বোতল। ভোটের আগে এলাকা দখলের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপি বলছে, নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদের চোখে কি তুলসি পাতা লাগানো রয়েছে?
ঘটনা কী ঘটেছে (Nadia)?
সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। গ্রামগঞ্জের প্রতি বুথে চলছে রাতের বেলায় খাওয়া-দাওয়ার আসর। একই ভাবে নবদ্বীপ (Nadia) বিধানসভার চরমাজদিয়া চরব্রহ্মনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার একটি সরকারি স্কুলে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় পতাকা লাগিয়ে চলল মাংস-ভাত খাবার আয়োজন। গ্রামের মানুষকে নিমন্ত্রণ করে চরমাজদিয়া গভর্নমেন্ট কলোনি জুনিয়র স্কুলে হয়ে গেল পিকনিক। স্কুলের চৌদ্দহির ভিতরেই পড়ে রয়েছে মদের বোতল। আর এ নিয়েই বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূল প্রার্থীরা ওই এলাকায় মাংস-ভাত খাইয়ে ভোট কিনতে চাইছে! রাতের বেলায় স্কুলের চাবি পেল কোথায় তৃণমূল কংগ্রেস? তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। স্কুলের ভিতরে মাইক এবং দলীয় পতাকা লাগিয়ে দেদার অনুষ্ঠান রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের। ভোটের আগে এলাকায় শাসক দলের এই আচরণে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকার (Nadia) বিজেপি নেতা দিলীপ সরকার বলেন, এই স্কুলের শিক্ষকরা আসেন এবং চলে যান। পড়াশুনা হয় না বললেই চলে। রাজনৈতিক নেতাদের গোপন আস্তানা হয়েছে এই স্কুল। ভোটের নিয়মবিধি চালু হওয়ার পর থেকেই স্কুলের মধ্যে তৃণমূলের পাতাকা লাগিয়ে মাংস-ভাত খাইয়ে রাতের অন্ধকারে ভোট কেনাবেচা চলছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষকরা কি কিছুই দেখতে পাচ্ছেন না! নাকি চোখে তুলসি পাতা লাগিয়ে রেখেছেন! ঠিক এই ভাবেই শাসকদলের ভোট কেনার কথা বলে নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ করেন এই বিজেপি নেতা।
এলাকার (Nadia) তৃণমূল নেতা বলেন, খাওয়া দাওয়ার সেরকম কিছু ব্যাপার নয়। ওই এলাকায় সারা বছরই স্কুলে পিকনিক হয়। দুর্গাপুজো, কালীপুজো এরকম বছরের ১২ থেকে ১৩ বার খাওয়া দাওয়া চলে। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগাযোগ নেই। মদ খাওয়ার প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, যারা মদ খায় তারা খেতেই থাকে, সারা বছরই মদ খায়। নির্বাচনকে সামনে নিয়ে বিরোধীরা মূলত অপ্রচার করছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।