সাধারণ ভোটারদের ওপরেও হামলার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে....
মাথা ফাটল বিজেপি সমর্থকের, পুকুরে ব্যালট বক্স
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিপিএমের আমল থেকেই আরামবাগের ভোটের চর্চা রাজ্যজুড়ে হতো। তৎকালীন সিপিএম সাংসদ অনিল বসুর জমানায় বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, লাগামছাড়া সন্ত্রাসে ভোট হয়না আরামবাগে। ২০১১ সালে পরিবর্তনের পরেও বিন্দুমাত্র কমেনি সন্ত্রাস। আরামবাগ আছে আরামবাগেই। ২০২৩ পঞ্চায়েত ভোটে খানাকুলে দেখা গেল সন্ত্রাসের চিত্র। বিজেপির অভিযোগ কোথাও বুথ দখল তো কোথাও তাদের ভোটারদের (Panchayat Vote) মারধর করেছে তৃণমূল। আবার কোথাও ব্যালট বক্স উদ্ধার হল পুকুর থেকে। আরামবাগের ধামসা এলাকায় ছাপ্পা ভোটের অভিযোগে গ্রামবাসীরা পুকুরে ব্যালট বক্স ফেলে দেয়। সবমিলিয়ে গণতন্ত্রের নামে প্রহসন দেখল রাজ্যবাসী।
গোঘাটের বদনগঞ্জের ১৪-১৫ নম্বর বুথে নির্দল প্রার্থীর এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, আরামবাগে নির্দল প্রার্থী জাহানারা বেগমের এজেন্টকে গুলি করার অভিযোগ শাসকদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে আরাণ্ডি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের সাতমাসা ২৭৩ বুথে। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা। গুলিবিদ্ধ ওই এজেন্টের নাম কায়মুদ্দিন মল্লিক। বুথে যাওয়ার পথে গুলি করে বলে অভিযোগ শাসক দলের বিরুদ্ধে। আবার ভোটের (Panchayat Vote) আগের রাত থেকেই খানাকুলের হরিশ্চক এলাকায় রাতভর উত্তেজনা, একাধিক বাড়ি ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ, এলাকায় ঢুকলেই নজরে পড়ছে ইটবৃষ্টির চিহ্ন। অভিযোগের তীর শাসকদলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার করে পালটা তৃণমুল সমর্থকদের দাবি, মদ্যপ হয়ে এমন ঘটনা ঘটাচ্ছে বিজেপি। রাতভর তান্ডব চললেও এলাকায় পুলিশের দেখা মেলেনি । অন্যদিকে খানাকুল ১ ব্লকের ঠাকুরানিচক গ্রাম পঞ্চায়েতের ৭০,৭২ নম্বর বুথে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ভোট দিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ আহত বেশ কয়েকজন। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী পৌঁছেছে। ঘটনা জেরে বেশ কিছুক্ষণ ভোট দান বন্ধ থাকে, এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। আরামবাগ ব্লকের গড়বাড়িতে ব্যাপক উত্তেজনা। তৃণমূলের যুব সভাপতি পলাশ রায়কে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি কর্মীরা। খানাকুল ১নং ব্লকের শংকরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৬৪ এবং ১৬৮ নং বুথে দফায় দফায় উত্তেজনা। তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজির অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আতঙ্কে জেরে ভোট দিতে পারছেন না ভোটাররা (Panchayat Vote)।
খানাকুলের বিজেপি সমর্থক দিপালী দাস বলেন, ‘‘ভোট কেন্দ্রে সকালে পৌঁছেছিলাম নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করব বলে, কিন্ত তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা যাওয়া মাত্রই বাধা দেয়, বলে ভোট হয়ে গেছে। আমি বাধা দিতে গেলে হুমকি দিতে থাকে।’’ অন্যদিকে অপর এক বিজেপি সমর্থক মৃত্যুঞ্জয় খাঁড়া এবং তাঁর স্ত্রীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মৃত্যুঞ্জয় খাঁড়া বলেন, ‘‘আমরা ভোট দিতে গিয়েছিলাম। তখনই তৃণমূল লাঠিসোঁটা, বাঁশ নিয়ে আমাদের ওপর আক্রমণ করে।’’ সবমিলিয়ে খানাকুল দেখল রক্তাক্ত ভোট।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।