BJP: বাংলায় বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল, কেন জানেন?...
বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করলেন নির্বাচনোত্তর হিংসায় আক্রান্তরা।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনোত্তর হিংসায় আক্রান্তদের নিয়ে রাজভবনে গিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার তিনি যখন রাজভবনে, তখন হিংসার (Post Poll Violence) অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এল বিজেপির কেন্দ্রীয় দল। মাহেশ্বরী সদনে ঘরছাড়া কর্মী-সমর্থকদের অভিযোগ শোনেন কেন্দ্রীয় দলের প্রতিনিধিরা। বিজেপির কেন্দ্রীয় দলের কাছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে নালিশ করেন কয়েকজন ঘরছাড়া।
কেন্দ্রীয় এই দলটি তৈরি করে দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। এই দলে রয়েছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ বিপ্লব দেব, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদ, উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন ডিজিপি তথা রাজ্যসভার সাংসদ ব্রিজলাল এবং বিজেপি সাংসদ কবিতা পতিদার। বিমানবন্দর থেকে (Post Poll Violence) তাঁরা সটান চলে আসেন মাহেশ্বরী সদনে। কেন্দ্রীয় টিমের সঙ্গে সমন্বয়কারী হিসেবে রাজ্য নেতৃত্বের তরফে ছিলেন অগ্নিমিত্রা পাল, তমোঘ্ন ঘোষ। কেন্দ্রীয় দলের সদস্যরা ঘরছাড়াদের জানান, শিশু থেকে মহিলা কাউকে ছাড়ছে না তৃণমূলের গুন্ডারা।
নির্বাচনোত্তর হিংসা নিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদ। তিনি বলেন, “মমতাদি আপনার রাজ্যে কী চলছে যে মানুষ ভোট দেওয়ার পর ঘরে যেতে পারছেন না? আমাদের এক কার্যকর্তার ভাইকে খুন করে ফেলেছে। এখন তাঁকেও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অনেক কর্মীরা রয়েছেন, তাঁরা ইদ পালন করতে যেতে পারছেন না। মমতাদি আপনার রাজ্যে কী চলছে?”
আরও পড়ুন: “মুখ্যমন্ত্রীর জন্য রাজভবনের দরজা বন্ধ, বলেছেন রাজ্যপাল”, দাবি শুভেন্দুর
এদিকে, বিজেপির এই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল যাবে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। ডায়মন্ড হারবার ও জয়নগরে যাওয়ার কথা তাদের। মঙ্গলবার ওই দলের সদস্যরা যাবেন কোচবিহারে। দিল্লি ফিরে তাঁরা রিপোর্ট দেবেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতিকে। বিপ্লব বলেন, “পলিটিক্যাল ট্যুরিজম নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জাগাতে এসেছি।” তিনি বলেন, “গত ১২-১৩ বছর ধরে তাঁর ঘুমই ভাঙছে না।” ত্রিপুরার প্রাক্তন এই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বিজেপির লিগ্যাল সেল ঘরছাড়াদের পাশে থাকবে। তবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়টি রাজ্য সরকারের এক্তিয়ারভুক্ত।” তিনি বলেন, “রাজ্য সরকার যদি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন করে, তাহলে দিল্লি থেকে বিজেপির প্রতিনিধিদলের বাংলায় আসার প্রয়োজন হয় না (Post Poll Violence)।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।