BJP central team: কোচবিহারে আক্রান্ত কর্মীদের পাশে বিজেপির কেন্দ্রীয় দল…
বিজেপি নেতা বিপ্লব দেব। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ভোট-পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence) নিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মমতার সরকারে বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে চার সদস্যের একটি দল রবিবার কলকাতায় এসে মাহেশ্বরী ভবনে আক্রান্তদের কাছ থেকে তৃণমূল দুষ্কৃতীদের অত্যাচারের বিবরণ শোনেন। এরপর সোমবার কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বাগডোগরা হয়ে কোচবিহারে গিয়েছেন। সেখানকার নিপীড়িত মানুষের বক্তব্য শুনেছেন।
একই ভাবে গতকাল প্রায় শতাধিক আক্রান্ত মানুষকে নিয়ে রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে হিংসা কবলিত এলাকা পরিদর্শনের জন্য অনুরোধ করেন তিনি।
ভোট-পরবর্তী (Post Poll Violence) হিংসার প্রভাব বাংলায় কতটা পড়েছে তা নিয়ে পরিদর্শনে এসেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় টিম। এই দলের পক্ষে ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যসভার সাংসদ বিপ্লব দেব বলেছেন, “মমতা এবং তাঁর দলের জন্মগত স্বভাব হল ভোট-পরবর্তী হিংসা। এই স্বভাবের দ্রুত বদল ঘটানো উচিত, তাতে তাঁর যেমন ভালো ঠিক তেমনি দলের জন্যও ভালো। এই আচরণে খুব একটা লাভ হবে না তৃণমূলের। এই রাজ্যের মানুষ তো তাঁরই মানুষ। দায়িত্ব সবার আগে তাঁর।”
আরও পড়ুনঃ খড়্গপুর আইআইটি হস্টেলের ছাদে উদ্ধার ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ! চাঞ্চল্য
রাজ্যে আসা কেন্দ্রীয় দলের সঙ্গে হিংসা (Post Poll Violence) কবলিত স্থান পরিদর্শনে যান রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তথা আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল। তিনি এদিন বলেন, “২০২১ সালে বিজেপি ব্যাপক ভাবে ভোট পাওয়ায় মমতা ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। সেই সময় ভোট-পরবর্তী হিংসাকে মান্যতা দিতে চাননি। এইবার লোকসভায় বিজেপি রাজ্যে আগের থেকে বেশি ভোট পেয়েছে, তাই মুখ্যমন্ত্রী ভয় পাচ্ছেন। রাজ্যে ভোটের পর হিংসার চিত্র যেন একটা পরম্পরায় পরিণত হয়েছে। আমাদের কেন্দ্রীয় টিম সব জায়গায় পরিদর্শন করছেন। গতকাল কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছি। আজ কোচবিহারেও আমরা বক্তব্য শুনেছি। ফিরে আরেকবার কলকাতায় বসব।”
ইতিমধ্যে কোচবিহার থেকে ডায়মন্ড হারবার সব জায়াগায় তৃণমূল দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত হয়ে ঘর ছাড়া হয়ে আছেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। গতকাল বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বারুইপুরে ঘরছাড়া কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁদের ঘরে ফেরানোর আশ্বাস দেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।