img

Follow us on

Friday, Nov 22, 2024

Poush Mela: শান্তিনিকেতনে এই বছর হচ্ছে না পৌষমেলা, ঘোষণা বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের

সময়ের অভাবে হচ্ছে না এবছরের পৌষমেলা…

img

প্রতীকী চিত্র।

  2023-12-04 17:28:36

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সময়ের অভাবে এবছরও শান্তিনিকেতনে পৌষমেলা (Poush Mela) হচ্ছে না বলে জানা গিয়েছে। প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সময়পর্বে মেলা বন্ধ করা হয়েছিল। মেলার নামে ক্যাম্পাসে রবি ঠাকুরের সংস্কৃতিকে নষ্ট করার কথা উঠেছিল। কিন্তু তাঁর কার্যকালের সময় শেষ হলে আবার শান্তিনিকেতনের পৌষমেলা হবে বলে শোনা গিয়েছিল। কিন্তু আজ সোমবার বিশ্বভারতী ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট জানিয়ে দিল, সময়ের অভাবে ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা হচ্ছে না। অবশ্য এই সিদ্ধান্তে স্থানীয় এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের কথা জানা গিয়েছে।

প্রথমে হওয়ার কথা ছিল মেলা (Poush Mela)

প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর মেয়াদ শেষ হতেই এই পৌষমেলা (Poush Mela) নিয়ে প্রথমে আশার আলো দেখা গিয়েছিল স্থানীয় এবং দেশ-বিদেশের পর্যটকদের। ক্যাম্পাসের ভিতরে-বাইরে সকলের মধ্যে মেলা হওয়ার কথা জানতে পারায় বেশ খুশির আবহ ছিল। কিন্তু সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে লম্বা বৈঠকের পর ঘোষণা হয়, সময় কম, তাই এই সংক্ষিপ্ত সময়ে মেলার পুরোপুরি প্রস্তুতি সম্ভবপর নয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সঞ্জয়কুমার মল্লিক। তবে বিশ্বভারতীর অভ্যন্তরীণ পৌষ উৎসব পালন করা হবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সম্পাদক অনিল কোনার বলেন, ‘‘আমাদের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে, এই বছর আর পৌষমেলা করা সম্ভব হচ্ছে ।“

২০১৯ সাল থেকেই বন্ধ পৌষমেলা

বোলপুর শান্তিনিকেতনের অন্যতম প্রধান উৎসব হল পৌষমেলার (Poush Mela) উৎসব। এই উৎসব নানাবিধ কারণে বিগত ২০১৯ সাল থেকে বন্ধ হয়ে যায়। প্রতিবাদে সরব হয়েছিল নানা মহল। বিশ্বভারতীতে ছাত্রদের মধ্যে নানান বিক্ষোভ কর্মসূচিও দেখা যায়। পাশাপাশি তৎকালীন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবতী এই মেলাকে বন্ধ করার কারণ হিসাবে মেলার নামে ক্যাম্পাসে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের জায়গা দখল, মাঠে অবৈধ কর্মকাণ্ড চালানোর অভিযোগ তুলেছিলেন। সার্বিক ভাবে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আশ্রমিক জীবনযাপনের উপর মেলার নামে অপসংস্কৃতিকে চাষ হচ্ছে বলে যুক্তিও উঠেছিল সেই সময়। বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সময়পর্বে তাই মেলা বন্ধ করা হয়। সেই সময়পর্বে ক্যাম্পাসের নিজস্ব জায়গাগুলিকে দখলমুক্ত করতে ফেন্সিং ওয়াল দিতে গেলে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক, নেতা এবং কর্মীরা জেসিবি মেশিন দিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ উঠেছিল। একই ভাবে নির্মাণসামগ্রী রড, বালি, পাথর চুরি হয় বলে সংবাদ মাধ্যমে জানা গিয়েছিল। বহিরাগত দৌরাত্ম্যের কবল থেকে ক্যাম্পাসকে মুক্ত করার কথা তৎকালীন উপাচার্যের মুখে বার বার শুনে গিয়েছিল।   

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Tags:

Birbhum

Madhyom

bangla news

Bengali news

Santiniketan

Visva Bharati

poush mela


আরও খবর


ছবিতে খবর