সিবিআইয়ের অভিযোগ, জেল কর্তৃপক্ষ আদালত অবমাননা করেছেন...
ফাইল ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার হাইকোর্টের (High Court) তোপে প্রেসিডেন্সির জেল (Presidency Jail) সুপার। খোদ জেল সুপারকে জেলে ভরার হুঁশিয়ারি হাইকোর্টের। প্রেসিডেন্সি জেলের সুপার দেবাশিস চক্রবর্তীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিল আদালত। জরিমানা অনাদায়ে ৭ দিন জেলে রাখার নির্দেশ বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চের।
আদালতের নির্দেশের পরেও জেলে না রেখে হাসপাতালে রাখা হয়েছল কয়লা পাচার মামলায় অভিযুক্ত বিকাশ মিশ্রকে (Bikash Mishra)। আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে অবমাননা রুল জারি করে। আদালত জানায়, জেলের প্রধানের এমন ভূমিকা দেখে আদালত চোখ বুজে থাকতে পারে না। না হলে জেলের সবার ওপর অবিচার করা হবে। এদিন প্রেসিডেন্সি জেলের সুপার আদালতে হাজির ছিলেন। তিনি নিঃশর্ত ক্ষমাও চান। রাজ্যের সব থেকে বড় সংশোধনাগারের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। বিচারাধীন বন্দি বিকাশ সুস্থ হওয়া সত্ত্বেও কেন তাঁকে জেলে না রেখে হাসপাতালে রাখা হয়েছিল, সেই প্রশ্নও করেন বিচারপতি। এই অপরাধে জরিমানার নিদান দেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ (High Court)। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জরিমানা বাবদ ১০ হাজার টাকা না দিলে, সাত দিনের সরল জেল যাপনের নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ।
আরও পড়ুুন: ‘সিবিআই কান অবধি পৌঁছে গেছে...’, কালীঘাটের কাকু সম্পর্কে বললেন সুকান্ত
প্রসঙ্গত, এর আগে সশরীরে হাইকোর্টে হাজিরা দিয়ে ক্ষমা চেয়েছিলেন প্রেসিডেন্সি জেলের সুপার দেবাশিস। কিন্তু আদালত তাঁকে ক্ষমা করেনি। ডিভিশন বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, রাজ্যের সব চেয়ে বড় জেলের সুপারের এহেন দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ মানা যায় না। বিকাশকে হাসপাতালে রাখা সম্পর্কে সিবিআইয়ের বক্তব্য ছিল, আদালত (High Court) বলে দিয়েছিল বিকাশ যদি অসুস্থ না থাকেন, তাহলে হাসপাতাল থেকে জেলে পাঠাতে হবে তাঁকে। কিন্তু সুস্থ হয়ে যাওয়ার পরেও তাঁকে হাসপাতালে রেখে দেওয়া হয়েছিল। সিবিআইয়ের অভিযোগ, জেল কর্তৃপক্ষ আদালত অবমাননা করেছেন। কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার আরও অভিযোগ, বিকাশ জেলের বদলে হাসপাতালে থাকায় মামলায় অন্যরকম প্রভাব তৈরির চেষ্টা হয়েছে। আদালতও আগের দিন হাসপাতালকে অভিযুক্তর পক্ষীশালা বলে উল্লেখ করেছিল।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।