img

Follow us on

Friday, Sep 20, 2024

Primary Recruitment Case: ‘চাকরিহারাদের তো নেকড়ের সামনে ফেলে দেওয়া হয়নি’! বললেন বিচারপতি তালুকদার

প্রাথমিকে ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল সংক্রান্ত মামলার শুনানি...

img

ফাইল ছবি।

  2023-05-17 17:39:34

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “একক বেঞ্চ তো আবার নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দিয়েছে। কাউকে তো নেকড়ের সামনে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়নি। তাহলে সমস্যা কোথায়?” মঙ্গলবার কথাগুলি বললেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি সুব্রত তালুকদার। এদিন প্রাথমিকে ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল সংক্রান্ত মামলার (Primary Recruitment Case) শুনানি শুরু হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। সেখানেই বিচারপতি তালুকদার বলেন, “একক বেঞ্চ তো আবার নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দিয়েছে। কাউকে তো নেকড়ের সামনে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়নি। তাহলে সমস্যা কোথায়?”

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে ত্রুটির কথা উল্লেখ করে শুক্রবার ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেই মামলার শুনানিতেই ওই মন্তব্য করেন বিচারপতি তালুকদার।

চাকরি বাতিল সংক্রান্ত মামলায় (Primary Recruitment Case) সওয়াল...

এদিন আদালতে পর্ষদের তরফে হাজির ছিলেন আইনজীবী লক্ষ্মী গুপ্ত। তিনি বলেন, “চাকরিহারা ওই প্রাথমিক শিক্ষকদের (Primary Recruitment Case) অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট যে হয়নি তা বিচারপতি কীভাবে বুঝলেন? আমাদের বিভিন্ন জেলা মিলিয়ে ১০০ জনেরও বেশি পরীক্ষক বা ইন্টারভিউয়ার ছিলেন। বিচারপতি মাত্র কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। কেবল তার ভিত্তিতে তিনি কীভাবে বলে দিলেন, অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট সঠিক পদ্ধতিতে না নিয়েই নম্বর দেওয়া হয়েছে?”

আদালতের নির্দেশে চাকরি খোয়ানো ব্যক্তিদের তরফে আদালতে সওয়াল করেন তৃণমূল নেতা তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “অপ্রশিক্ষিত হওয়ার জন্যই যদি চাকরি বাতিল হয়, তবে যাঁরা মামলা করেছেন, তাঁরাও তো অপ্রশিক্ষিত প্রার্থী। তাছাড়া নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি যখন দেওয়া হয়েছিল, তাতে স্পষ্ট বলা ছিল, অপ্রশিক্ষিত হলেও, চাকরি পাবেন। কিন্তু দু বছরে প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করতে হবে। তার পরেও কীভাবে অপ্রশিক্ষিত হওয়ার জন্য চাকরি বাতিল হতে পারে”?

আরও পড়ুুন: মোদি সরকারের নবম বর্ষপূর্তিতে উদ্বোধন হচ্ছে নয়া সংসদ ভবনের!

আদালতে সওয়াল করেন মূল মামলাকারীদের আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারিও। তিনি বলেন, “অনিয়ম (Primary Recruitment Case) যে হয়েছে, কে কত নম্বর পেয়েছেন, তা তো পর্ষদের প্রকাশিত প্যানেলের তথ্য থেকেই জানা যাচ্ছে। ৩২ হাজারের চাকরি যাওয়া নিয়ে এত কথা বলা হচ্ছে। অথচ চাকরির অপেক্ষায় যে হাজার হাজার প্রার্থী বসে রয়েছেন, তাঁদের কী হবে?”

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে ৪২ হাজার ৫০০ জন শিক্ষককে নিয়োগ করা হয় রাজ্যের বিভিন্ন প্রাথমিক স্কুলে। তাঁদের মধ্যে ৩২ হাজার শিক্ষকের নিয়োগ নিয়ম মেনে হয়নি বলে অভিযোগ বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের। তার পরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ওই ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল করে দেন। তিনি জানিয়েছিলেন, ওই শিক্ষকরা চার মাস স্কুলে পড়াবেন, বেতন পাবেন পার্শ্বশিক্ষকের মতো। এই সময়ের মধ্যেই পর্ষদকে শেষ করতে হবে নিয়োগ প্রক্রিয়া।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Tags:

Calcutta High court

bangla news

Bengali news

primary

recruitment case

Primary Recruitment Case


আরও খবর


ছবিতে খবর