একরত্তি শিশুর শরীরে সূচ ঢুকিয়ে হত্যা! যে ঘটনা তোলপাড় করে দিয়েছিল গোটা রাজ্য...
কলকাতা হাইকোর্ট
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরুলিয়ার বিখ্যাত সূচকাণ্ড মামলায় (Purulia Child Needle Case) দোষীদের মৃত্যুদণ্ড রদ করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta Highcourt)। বদলে, দুই দোষীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে উচ্চ আদালত।
২০১৭ সালের সেই ঘটনায় শিউরে উঠেছিল গোটা বাংলা। সাড়ে তিন বছরের ফুটফুটে শিশুকন্যার সারা শরীরে সূচ ফুটিয়ে নারকীয় ভাবে হত্যার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর মা মঙ্গলা গোস্বামী এবং মায়ের তান্ত্রিক প্রেমিক সনাতন ঠাকুরের বিরুদ্ধে। পেশায় কীর্তনশিল্পী তথা ওঝা সনাতনের বিরুদ্ধেই শিশুটির শরীরে সাতটি সুচ ফুটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সেই পরিকল্পনায় যোগ দেয় শিশুর মা মঙ্গলাও। পুলিশি তদন্তে উঠে আসে, পথের কাঁটা সরাতে পরিকল্পনা করে শিশুকন্যার ওপর অত্যাচার চালায় সনাতন ঠাকুর।
আরও পড়ুন: বকেয়া ডিএ না মিটিয়ে পুজোয় অনুদান! দুর্নীতিকে আড়াল নাকি নজরে পঞ্চায়েত?
ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় শিশুকে প্রথমে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শিশুটির শরীর থেকে বের করা হয় সাতটি সূচই। কিন্তু, তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। কয়েকদিন পর মৃত্যু হয় ওই শিশুর। পুলিশ প্রথমে ওই শিশুর মাকে গ্রেফতার করে। পরে তার প্রেমিককে উত্তরপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার করে। ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ২০২১ সালে ফাঁসির সাজা শোনায় পুরুলিয়া আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট। ঘটনাকে বিরলতম বলে উল্লেখ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হিসেবে দুজনকেই ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছিল নিম্ন আদালত।
এরপরে দোষীরা নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। সেই রায় পরিবর্তন করে বৃহস্পতিবার ফাঁসি সাজা রদের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি বিভাসরঞ্জন দে-এর ডিভিশন বেঞ্চ। সেই সঙ্গে হাইকোর্টের আরও নির্দেশ, দোষীরা ৩০ বছর পর্যন্ত জামিনের আবেদন করতে পারবে না। অর্থাৎ জেলে থাকার সময়সীমা ৩০ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরেই দোষীরা জামিনের জন্য আবেদন জানাতে পারবে।
আরও পড়ুন: এবার রাজ্যের সমবায় ব্যাংক নিয়োগেও দুর্নীতি! জড়াল মন্ত্রী অরূপ রায়ের নাম