মুর্শিদাবাদে ফের বোমা বিস্ফোরণ, আতঙ্ক
বোমা বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত আইসিডিএস কেন্দ্র (নিজস্ব চিত্র)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই রাজ্যের একাধিক জেলায় বোমা বিস্ফোরণে (Bomb Blast) ঘটনা ঘটেছে। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ জেলায় একাধিক ব্লকে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এর আগে বেলডাঙ্গায় বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়। এবার ফের মুর্শিদাবাদ জেলায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল। রবিবার সাত সকালেই মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের লক্ষ্মীজোলায় বন্ধ আইসিডিএস সেন্টারে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে লক্ষ্মীজোলায় এলাকায় আইসিডিএস কেন্দ্রটি তৈরি হয়। তৈরি হওয়ার পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি চালু হয়নি। তবে, আইসিডিএস সেন্টারটির মূল ভবনটি বন্ধ থাকলেও বাইরে শিশুদের ক্লাস হয়। এদিন রবিবার বলে সেন্টার বন্ধ ছিল। আচমকাই বিকট শব্দে গোটা এলাকা কেঁপে ওঠে। বোমা বিস্ফোরণের (Bomb Blast) তীব্রতায় আইসিডিএস সেন্টারের ছাদ উড়ে গিয়েছে। ভেঙে গিয়েছে ইটের দেওয়াল। আইসিডিএস সেন্টারটি বন্ধ থাকায় বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, আচমকাই বিকট আওয়াজে গোটা এলাকা কেঁপে ওঠে। আমরা বাড়ি থেকে বেরিয়ে দেখি, পাড়ার মধ্যে থাকা আইসিডিএস কেন্দ্রটি ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে এবং সেন্টারের ছাদ উড়ে গিয়েছে। অন্যদিন, সেখানে শিশুরা পড়াশুনা করে। বড় বিপর্যয় হতে পারত। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান নাসিরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে যান। তিনি বলেন, আইসিডিএস কেন্দ্রটি চালু হয়নি। সেখানেই কেউ বা কারা অনেক বোমা মজুত করে রেখেছিল। সেই বোমা থেকেই কোনওভাবেই বিস্ফোরণ (Bomb Blast) ঘটে। তবে, ঘটনার সময় আশপাশে কেউ ছিলেন না। তাই, কেউ জখম হয়নি। ঘটনার পর পরই ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
বিজেপি নেতা লাল্টু দাস বলেন, গোটা মুর্শিদাবাদ জেলাজুড়ে তৃণমূল বোমা, গুলি নিয়ে খেলা করছে। আইসিডিএস কেন্দ্রকেও এরা বাদ দিচ্ছে না। এসব জায়গায় শিশুরা থাকে, সেটাও ওরা ভুলে গিয়েছে। আমরা এই ঘটনায় দোষীদের শাস্তি দাবি করছি। অন্যদিকে, তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সামিরুদ্দিন বিশ্বাস বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনওভাবে জড়িত নয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।