গণিখান চৌধুরি রেলমন্ত্রী থাকাকালীন ১৯৭৪-৭৫ সাল নাগাদ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল মোট ১১০ কিমি দৈর্ঘ্যের রেলপথের মাধ্যমে জোড়া হবে......
প্রতীকী ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে মোট ৪৪টি প্রকল্প আটকে রয়েছে রেলের (Indian Railways)। অভিযোগ রাজ্য সরকারের অসহযোগিতা এবং জমি জটিলতার কারণে এই প্রকল্পগুলির বাস্তবায়ন করতে পারছে না রেল। এরমধ্যে ১৩টি প্রকল্প রয়েছে যেগুলিতে নতুন লাইন পাতার কথা। রেল সূত্রে জানা গেছে, এই প্রকল্পগুলির মোট বাজেট ধরা হয়েছে ৯,২২৫ কোটি টাকা। জানা গিয়েছে, মোট ১০৪৯ কিমির এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত রেল কিন্তু জমি জটের কারণেই নাকি এই প্রকল্পগুলি এগোচ্ছেনা।
গণিখান চৌধুরি রেলমন্ত্রী থাকাকালীন ১৯৭৪-৭৫ সাল নাগাদ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল মোট ১১০ কিমি দৈর্ঘ্যের রেলপথের মাধ্যমে জোড়া হবে হাওড়া-আমতা (৪২ কিমি), বড়গাছিয়া-চাঁপাডাঙ্গা-তারকেশ্বর (৪০ কিমি), আমতা-বাগনান (১৬ কিমি) এবং জাঙ্গিপাড়া-ফুরফুরা শরিফকে (১৬ কিমি)। এরমধ্যে একমাত্র হাওড়া-আমতা ৪২ কিমির রেলপথ শুরু হয়েছে। কয়েকটি প্রকল্পের শিলান্যাসও হয় ২০০৯-২০১০ নাগাদ, তখন কেন্দ্রের রেলমন্ত্রী ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্যস ওইটুকুই! আর এগোয়নি কাজ। রেলের দাবি, কয়েকটি প্রকল্পের জন্য জমি কিনতে রাজ্য সরকারকে ২৩ কোটি টাকাও দেওয়া হয়েছিল! কিন্তু রাজ্য সরকার কোনও জমি অধিগ্রহণ করতে পারেনি। রেল আবার রাজ্য সরকারকে চিঠি দেয় ওই টাকা ফেরতের জন্য। রেল (Indian Railways) বলছে, রাজ্য সরকারের এমন অসহযোগিতার কারণে তারা প্রকল্প আপাতত বন্ধ রেখেছে।
এই প্রকল্পের অন্যতম অংশ হল হুগলির চাঁপাডাঙ্গা, সেখানকার প্রবীণ বাসিন্দা গণেশ চক্রবর্তী বলেন, ছোট থেকে শুনছি এই প্রকল্পের কথা। ৪০ বছর আগেও দেখেছি মাপজোক করতেন রেলের আধিকারিকরা। তারপর ২০০৯-২০১০ সালে প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত কতগুলি জায়গায় শিলান্যাসও করে গেছিলেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কাজ এগোয়নি!
রাজ্যের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিকদের বক্তব্য, রাজ্য সরকারের ঘোষিত নীতিই হল, কোনও প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা যাবেনা। বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য ছাড় রয়েছে কিন্তু সেখানেও রাজ্য সরকারের অনুমোদন নিতেই হবে। অনেক মহলের তাই প্রশ্ন, রাজ্য সরকারের কাছে নতুন রেলপথের প্রকল্প বিশেষ নয় কেন? কারণ কী শুধুই রাজনৈতিক?
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
Tags: