img

Follow us on

Saturday, Nov 23, 2024

Ration Scam: “ডিরেক্টর! আমি তো জানি না, সই করিয়েছিল দাদার লোক”, বললেন জ্যোতিপ্রিয়র পরিচারক

বিপদ বাড়ছে বালুর! এবার বিস্ফোরক মন্ত্রীর পরিচারক...

img

জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সুখের সে দিন। ফাইল ছবি।

  2023-11-07 16:03:59

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিজিৎ দাসের পর এবার রামস্বরূপ শর্মা। রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে ‘ফাঁসাচ্ছেন’ (Ration Scam) তাঁরই ঘনিষ্ট বৃত্তের লোকজন। দিন কয়েক আগে জ্যোতিপ্রিয়র প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক অভিজিৎ দাস দাবি করেন, মন্ত্রীর নির্দেশেই তাঁর মা ও স্ত্রীকে কোম্পানির ডিরেক্টর করতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। এবার মুখ খুললেন পরিচারক রামস্বরূপও।

'বালুদার কাছে কাজ করতাম'

ইডি সূত্রে খবর, জেরায় রামস্বরূপ জানিয়েছেন, বিহার থেকে ভাগ্যান্বেষণে ১৯৯৩ সালে কলকাতায় এসেছিলেন তিনি। কলেজ স্ট্রিটে সেলুন খুলেছিলেন। এখানেই বাড়ি ছিল জ্যোতিপ্রিয়রও। রামস্বরূপ বলেন, “আমি ’৯৩ সালে কলকাতায় এসেছি। সেলুন আছে। কলেজ স্ট্রিটের ওখানে ফুটপাতের ওপর সেলুন ছিল। এখনও আছে। এখানেই একটি বাড়িতে থাকতেন দাদা। দাদার বাজার এটা সেটা করে দিতাম। ২০ বছর কাজ করার পর দাদা আমাকে একটা চাকরি দিয়েছে। ১০ বছর হয়ে গিয়েছে চাকরির।” রামস্বরূপ (Ration Scam) বলেন, “আমি সাহেবের কাছ থেকে ২০ লক্ষ টাকা লোন হিসেবে নিই। ৫ লক্ষ টাকা শোধও করেছি। আরও ১৫ লক্ষ টাকা পাবেন সাহেব।” তিনি বলেন, “আমি বালুদার কাছে কাজ করতাম। ওঁর কাছ থেকেই নিয়েছি।”

'কোম্পানির ব্যাপারে কিছুই জানি না'

ইডি জেনেছে, এই রামস্বরূপ একটি সংস্থার ডিরেক্টর। কীভাবে ডিরেক্টর হলেন? ইডি-র দাবি, রামস্বরূপ জেরায় বলেন, “কোম্পানির ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। খবরে শুনেছি। আমি এসব কিছুতেই নেই। ওসব নামও আমি জানি না। বালুদার নাম করে কিছু লোক আমার কাছে সই করিয়েছিল। আমি সই করে দিয়েছি। এ ছাড়া আমি আর কিছু জানি না। আমি অতশত বুঝি না। আমি হিন্দিতে লেখাপড়া জানি। বিহারে ক্লাস সিক্স-সেভেন পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিলাম। আমি ইংরেজি কিছু জানি না। বলল, দাদা পাঠিয়েছে, সই করে দাও। আমি জানি না, কিছু বুঝিও না। এর পিছনে কিছু বলার নেই।”

আরও পড়ুুন: “যুদ্ধ থামানোর কোনও প্রশ্নই নেই”, যুদ্ধের মাসপূর্তিতে সাফ জানালেন নেতানিয়াহু

তিনি বলেন, “আমার তো ধোয়া, মোছা, পরিষ্কার করার কাজ (জ্যোতিপ্রিয়র বাড়িতে)। করতেই হয়। কৃষি দফতরেও কাজ করি। চুক্তিভিত্তিক গ্রুপ ডি।” ইডির (Ration Scam) দাবি, চালকলের মালিকের কাছ থেকে কমিশন হিসেবে টাকা না নিয়ে সম্পত্তি নিয়েছিলেন জ্যোতিপ্রিয়। সেই সম্পত্তি আবার নিজের নামে রাখেননি। পরিচারকের নামে দানপত্র লিখিয়ে নেন ওই চালকল মালিকের কাছ থেকেই।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

 
 

 

Tags:

bangla news

Bengali news

 madhyom

agriculture department

Ration Scam

jyotipriya mallick

Ration Scam Case


আরও খবর


ছবিতে খবর