‘‘মুড়ি-মুড়কির মতো দুর্নীতি হয়েছে বলেই মুড়ি-মুড়কির মতো সিবিআই দিতে হয়েছে...’’
ফাইল ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় নানা সময় বিস্ফোরক একাধিক মন্তব্য করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। তাঁর এই সব মন্তব্য হইচই ফেলে দিয়েছে রাজ্যে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক তাঁর মন্তব্যগুলি।
দুর্নীতি দেখলে আমি রুখে দাঁড়াবই। মাথায় বন্দুক ঠেকালেও আমি থামব না। তিনি বলেন, সব আমলেই দুর্নীতি হয়। আমি কোনও রাজনীতি করছি না। আইনজীবীরা রাজনীতি করতে পারেন। অন্য একদিন বলেন (Abhijit Ganguly), ঢাকি সব বিসর্জন কীভাবে দিতে হয়, আমিও জানি। আসল অপরাধী কে বা কারা, তা সবাই জানে। আমার জীবদ্দশায় তারা ধরা পড়বে বলে মনে হয় না। আমি তো নিজে ধরতে যেতে পারব না। যা করার, পুলিশ, ইডি, সিবিআইকে করতে হবে। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গ এমন একটা রাজ্য হয়েছে, যেখানে টাকা না দিলে চাকরি মেলে না। মুড়ি-মুড়কির মতো দুর্নীতি হয়েছে বলেই মুড়ি-মুড়কির মতো সিবিআই দিতে হয়েছে। আমি তো এটা জীবনে কল্পনাই করতে পারি না।
আরও পড়ুুন: কর্নাটকে মোদির কনভয়ে উড়ে এল মোবাইল ফোন! প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে
সিবিআইকে ভর্ৎসনা করে তিনি বলেন, আপনাদের থেকে তো ভাল জিজ্ঞাসাবাদ করতে আমি জানি। দুর্নীতি মামলায় তাঁর মন্তব্য, অনেক ধেড়ে ইঁদুর বেরবে। অন্য একটি মামলায় তিনি (Abhijit Ganguly) বলেছিলেন, দিদি একা সামলাতে পারছেন না। এত দুর্বৃত্ত চারপাশে থাকলে সামলাবেন কী করে? তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীক ও অনুমোদন বাতিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সংবিধান বিরোধী কাজের জন্য এই সরকারি দলের লোগো ও মান্যতা প্রত্যাহার করতে তিনি নির্বাচন কমিশনকে বলতে পারেন। অন্য একটি মামলায় তিনি বলেন, দুর্নীতির মহাসমুদ্রে আমি হাবুডুবু খাচ্ছি। আপনারা সাহায্য করছেন। তারপরও হাবুডুবু খাচ্ছি। ঠগ বাছতে তো গাঁ উজাড় হয়ে যাবে। এক জ্যাঠামশাই বলে বেড়াচ্ছেন আমি আইনের এবিসিডি জানি না। তিনি নিজে কি এবিসিডি জানেন?
কিছু দালাল, যারা মুখপাত্র বলে পরিচিত এবং কিছু মন্ত্রীর নাম বলতে পারি আমি, যাঁরা প্রকাশ্যে বলেছেন কারও চাকরি যাবে না। মুখ্যমন্ত্রী ভাল কাজ করছেন। আমি কেন খারাপ কথা বলব? কবিতার প্রথম লাইন হল এপাং ওপাং ঝপাং। আমরা সবাই ড্যাং ড্যাং। এই যদি কবিতার বই হয়, তাহলে কেউ পড়বে? আমার (Abhijit Ganguly) মনে হয় কেউ পড়বে না। এই অখাদ্য জিনিসগুলো গ্রন্থাগারে রাখবেন না, এটা আজ বলার সময় এসেছে। অখাদ্য বই সরবরাহ হয় সরকারি গ্রন্থাগারে, তা পড়তে কোনও মনুষ্য সন্তান সেখানে যাবে না। বোমা বাঁধতে পারলে কি বাড়তি নম্বর পাওয়া যায়? বীরভূমে পেটো বাঁধলে কত নম্বর পাওয়া যায়?
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।