Recruitment Scam: তবে কি মানিক-পুত্র সৌভিক নিখোঁজ?
মানিক ভট্টাচার্য ও তাঁর ছেলে সৌভিক ভট্টাচার্য
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে বর্তমানে জেলে। অন্যদিকে মানিক ভট্টাচার্যের ছেলে সৌভিকের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারির প্রক্রিয়া শুরু করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই প্রথম লুকআউট সার্কুলার নোটিশ জারি করা হল বলে খবর। মানিক ভট্টাচার্যের ছেলে যাতে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে না পারেন, তার জন্য এই লুকআউট নোটিশ জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এয়ারপোর্ট অথরিটি, স্থল ও জলবন্দরের কর্তাদেরকেও পাঠানো হয়েছে মানিকপুত্র সৌভিক ভট্টাচার্যের নথি। সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতেও দিয়ে দেওয়া হয়েছে সেই নোটিশের প্রতিলিপি।
নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রথমেই নাম উঠে আসে মানিক ভট্টাচার্যের ছেলের। তাঁকে আদালত তলবও করেছিল। তিনি আদালতে হাজিরা দেন। এরপর তদন্তের প্রয়োজনে তলব করা হলে বেশ কয়েকবার ইডির ডাক উপেক্ষা করে গরহাজির হয়েছেন মানিক-পুত্র। এর আগেও ইডির তরফে জানানো হয়েছিল সৌভিকের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাই এবারে কড়া পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হল ইডি। কোনওমতেই যাতে রাজ্য বা দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে তার জন্য এই লুক আউটের নোটিশ জারি করল ইডি।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রথম থেকেই নাম উঠে এসেছে মানিক-পুত্র সৌভিক ভট্টাচার্যের। কারণ ইডি সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতির টাকা সৌভিকের অ্যাকাউন্টেও ঢুকেছে। এছাড়াও নিয়োগ দুর্নীতিতে গত ৭ ডিসেম্বর মানিকের বিরুদ্ধে একটি অতিরিক্ত চার্জশিট পেশ করেছিল ইডি, সেই ১৬০ পাতার চার্জশিটের মানিক ছাড়াও আরও ৫ জনের নাম ছিল। এর মধ্যে মানিকের স্ত্রী, পুত্র, মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল ছাড়াও চার্জশিটে অভিযুক্তের তালিকায় উল্লেখ করা হয়েছিল ২টি সংস্থার নাম। আাবার সেই চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে, সৌভিক ভট্টাচার্য বেসরকারি বিএড এবং ডিএলএড কলেজে ট্রেনিং-এর জন্য ৫০ হাজার টাকা করে নিতেন। এভাবে ২ কোটি ৬৪ হাজার টাকা তুলেছিলেন তিনি। অভিযোগ, কোনও রকমের পরিষেবা দেওয়া হয়নি। ফলে এই সব বিষয়ে বিস্তারিত জানতেই সৌভিককে জিজ্ঞসাবাদ করা অত্যন্ত জরুরি। আবার আগাম জামিনের আবেদন জানিয়েছেন সৌভিক ভট্টাচার্য। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি সেই মামলার শুনানি রয়েছে। ফলে কেন, কীভাবে তাঁর অ্যাকাউন্টে টাকা এল, এ সব বিষয়েই তদন্ত করতে তাঁকে জেরা করা প্রয়োজনীয়।