তাপস মণ্ডলের মহিষবাথানের অফিসে এত টাকা আসত, যে তা গোনার জন্য রীতিমতো মেশিন বসানো ছিল, মন্তব্য আরেক কর্মীর।
তাপস মণ্ডল।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কামদুনির প্রতিবাদী মুখ মৌসুমী কয়ালও কাজ করতেন মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের (Tapas Mondal) মহিষবাথানের (Mahishbathan)অফিসে। নিজেই একথা জানালেন মৌসুমী। তবে আর্থিক দুর্নীতি বা নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কিছুই জানেন না বা দেখেননি তাঁরা এমনই দাবি মৌসুমীর। চার-পাঁচ মাস বেতন না পেয়ে ওই চাকরি ছেড়ে দেন তিনি।
মৌসুমীর কথায়, প্রায় আড়াই বছর আগে তাপসের সংস্থায় কাজ করতেন তিনি। মৌসুমী বলেন, ‘একজনের সূত্রে আলাপ হয়েছিল তাপস মণ্ডলের সঙ্গে। তাপসবাবু কামাখ্যায় তাদের আশ্রমে ঘুরতে যেতে বলেন। অনুরোধ রক্ষা করতে সেখানে যাই। তখন একজন ভাল মানুষ বলেই জানতাম তাঁকে। ফিরে আসার কিছুদিন পর তাপসবাবু বলেন, ওনার প্রোজেক্টের কিছু কাজ চলছে, সেগুলো দেখাশুনো করলে ভালো হয়। সেই সময় আমরা ১৪ – ১৫ জন ওনার মহিষবাথানের অফিসে কাজে যোগ দিই। কিন্তু প্রায় ৫ থেকে ৬ মাস মাইনে না পাওয়ায় চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলাম’।
আরও পড়ুন: নানারকমের সোনার অলঙ্কারই অনুব্রতর কালী প্রতিমার বৈশিষ্ট্য! জানেন কী কী রয়েছে সেই তালিকায়?
মৌসুমী আরও জানিয়েছেন, তিনি যখন মহিষবাথানে তাপস মণ্ডলের মিনার্ভা এডুকেশন অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টে কাজ করতেন তখন ওই সংস্থার উদ্যোগে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একটি অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। সেখানে মানিকবাবুর সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। মৌসুমী জানিয়েছেন, তিনি যতদিন সেখানে ছিলেন, চাকরি বিক্রি বা কোনও লেনদেন সংক্রান্ত অস্বাভাবিক কিছু দেখেননি। তবে তার পর গত আড়াই বছরে কী হয়েছে তা জানা নেই তাঁর।
আরও পড়ুন: মানিক-ঘনিষ্ঠের ৩৫টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখছে ইডি! জানেন কে এই তাপস মণ্ডল?
অন্যদিকে, তাপস মণ্ডলের মহিষবাথানের অফিসে এত টাকা আসত, যে তা গোনার জন্য রীতিমতো মেশিন বসানো ছিল। সম্প্রতি অমন মন্তব্য করেছেন তাপস মণ্ডলের মিনার্ভা এনজিও-র দীনদয়াল উপাধ্যায় কেন্দ্রীয় কারিগরি শিক্ষা প্রজেক্টের এক কর্মী। সরকার তার পাশে আছে, এই দম্ভেই লোককে ভয় দেখিয়ে কাজ করাতেন তাপস এমনই দাবি তাঁর। তিনি জানান,মিনার্ভার ১৬ জন কর্মচারীর ৫ মাসের বেতনও আত্মসাৎ করেছেন তাপস মণ্ডল।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।