Agitation: জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে নাগরিক সমাজ, বেথুনের প্রাক্তনীরা, কী বললেন?
জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে ধর্নায় বেথুন কলেজের প্রাক্তনীরা (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি যথার্থ, অবিলম্বে তার সুরাহা প্রয়োজন। এই দাবি জানিয়ে ইতিমধ্যে আরজি কর (RG Kar), কলকাতা মেডিক্যাল এবং উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের সিনিয়র ডাক্তাররা গণ-ইস্তফা দিয়েছেন। এবার সেই দাবিকে সমর্থন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে এ বিষয়ে অবিলম্বে পদক্ষেপের অনুরোধ জানিয়ে ইমেল করলেন নাগরিক সমাজের একাংশ। পাশাপাশি বেথুনের প্রাক্তনীরা একদিনের প্রতীকী অনশন করলেন।
৭৫ জনের বেশি মানুষের স্বাক্ষর-সহ ওই চিঠি বুধবার সকালে ইমেল (RG Kar) করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যসচিবকে। ইমেলে স্বাক্ষর রয়েছে বিনায়ক সেন, গৌতম ভদ্র, মৌসুমী ভৌমিক, বিভাস চক্রবর্তী, সমাজকর্মী মিরাতুন নাহার, বোলান গঙ্গোপাধ্যায়, চলচ্চিত্র শিল্পী দেবলীনা, ঋদ্ধি সেন, কৌশিক সেন, রেশমি সেন, নাট্যকার রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, অধ্যাপক ঋত্বিকা বিশ্বাস, মইদুল ইসলামসহ শিক্ষা, চলচ্চিত্র, চিকিৎসা, আইন ক্ষেত্রের বিশিষ্টজনদেরও। ইমেল বার্তায় বলা হয়েছে, "আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে বিচার, হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা, সুষ্ঠু পরিকাঠামোর দাবিতে গত ৯ অগাস্ট থেকে জুনিয়র ডাক্তারেরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। বৃহত্তর নাগরিক সমাজ একই দাবিতে মুখর।” একইসঙ্গে বলা হয়েছে, "আরজি করের ঘটনার পরেও নানা জায়গায় যৌন নিগ্রহ, হেনস্থার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট এলাকার পুলিশ-প্রশাসনের খামতি (যেমন জয়নগর) এবং কোথাও কোথাও পুলিশই তেমন নিগ্রহে অভিযুক্ত হওয়ায় (পার্ক স্ট্রিট থানার ঘটনা) সার্বিক ভাবে নিরাপত্তাহীনতার বোধ তৈরি হয়েছে। তাই জুনিয়র ডাক্তারেরা বাধ্য হয়েই আমরণ অনশন শুরু করেছেন।" ইমেলের বয়ান অনুযায়ী নাগরিক সমাজের একাংশে বক্তব্য, "আমরা মনে করি, ডাক্তারদের দাবি এবং অভিযোগগুলি একেবারেই যথার্থ এবং অনতিবিলম্বে সেগুলির সুরাহা হওয়া একান্তই প্রয়োজন। সরকার যে প্রতিশ্রুতিগুলি দিয়েছিল, সেগুলির ভিত্তিতে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, সেই সংক্রান্ত অগ্রগতি কোন পর্যায়ে রয়েছে, তা জানাতে অবিলম্বে তাঁদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যসচিব আলোচনায় বসা প্রয়োজন।"
আরও পড়ুন: "বাংলায় আমরা সরকার গঠন করব", দৃঢ়প্রতিজ্ঞ শুভেন্দু বলে দিলেন কৌশলও
বুধবার জুনিয়র ডাক্তারদের (RG Kar) পাশে দাঁড়িয়ে ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনে (Agitation) বসলেন বেথুন কলেজের প্রাক্তনীরা। কারও বয়স ৭০, কারও বয়স ৮৩, কেউ আবার ৪৫। বেথুনের নানা বয়সের প্রাক্তনী এই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন। বাকিদেরও পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা। বেথুন কলেজের সামনে ফুটপাথে চেয়ার পেতে বসে পড়েছেন প্রাক্তনীরা। অনশনে অংশগ্রহণকারী এক বৃদ্ধা বলেন, "আমার বয়স ৮৩ বছর। এই বয়সেও আমি বিবেকের টানে এখানে আসতে বাধ্য হয়েছি। আমি বেথুন কলেজ থেকে ১৯৬০ সালে পাশ করে বেরিয়েছি। তার পর ওই কলেজেই শিক্ষকতা করেছি অনেক বছর। জুনিয়র ডাক্তারেরা আমরণ অনশন করছেন। আমাদের পক্ষে যতটা সম্ভব, আমরা করছি। এ ভাবে পাশে থাকার বার্তা দিতে চাই।" আর এক অনশনকারী বলেন, "আমার বয়স ৭০। আমি ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন মঞ্চে গিয়েছিলেন। ওদের অবস্থা চোখে দেখা যাচ্ছে না ভাবে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে ওরা আন্দোলন করছে। আমরাও বিবেকের তাড়না অনুভব করেছি।” অনশনে অংশ নিয়েছেন বেথুন কলেজের প্রাক্তন শিক্ষিকা, প্রধান শিক্ষিকারাও। তাঁরা অন্যান্য স্কুলগুলির প্রাক্তনী এবং সাধারণ মানুষকেও এই প্রতীকী অনশনে যোগ দিতে আহ্বান জানিয়েছেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।