অভয়ার ন্যায়বিচার কর্মসূচিতে কলকাতায় কত মানুষ আলো নিভিয়েছিলেন জানেন?…
আরজি কর ইস্যুতে রাত দখলের আন্দোলন। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হত্যাকাণ্ডের (RG Kar Case) প্রতিবাদে ডাক্তার সমাজ রাতের 'আলো নিভিয়ে' মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদে নামার ডাক দিয়েছিল। এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন প্রায় ৪৪ লক্ষ মানুষ। এমনকী যোগদান করেছিলেন সমাজের নানাস্তরের মানুষ। অনেকে রাস্তার প্রতিবাদ মিছিল বা জমায়েতেও যোগ দিয়েছিলেন। আবার কেউ কেউ বাড়িতে মোমবাতি, প্রদীপ জ্বালিয়ে মৌন প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন। চারদিকে একটাই আওয়াজ উঠেছিল ‘অভয়ার খুনিদের ফাঁসি চাই, ন্যায় বিচার চাই’। উল্লেখ্য এই দিনে অন্যান্য রাতের থেকে বিদ্যুৎ খরচ কম হয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা সিইএসসি-র পরিসংখ্যানেই এমনটা জানা গিয়েছে।
গত ৪ সেপ্টেম্বর অভয়ার হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে (RG Kar Case) আলো বন্ধ করে প্রতীকী প্রতিবাদ করেন ডাক্তাররা। আঁধার নেমে এসেছিল সর্বত্র। সিইএসসি-র দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা গিয়েছে, গত বুধবার রাত ৯টা ৪৫মিনিট নাগাদ মোট বিদ্যুৎ খরচ হয়েছে ১,৬৭৭ মেগাওয়াট। অন্যান্য দিনের চেয়ে যা উল্লেখ্যযোগ্যভাবে কম। তার ঠিক আগের দিনই অর্থাৎ, মঙ্গলবার রাতে ওই সময়ে সিইএসসি এলাকায় বিদ্যুৎ খরচ হয়েছিল মোট ১,৭৯৬ মেগাওয়াট। সোমবার রাতে পৌনে ১০টা নাগাদ বিদ্যুৎ খরচের পরিমাণ ১,৭৮৯ মেগাওয়াট। অঙ্কের হিসেবে ১ মেগাওয়াট আসলে ১০ লক্ষ ওয়াটের সমান। ফলে বুধবার রাতে ১১ কোটি ৯০ লক্ষ ওয়াট বিদ্যুৎ কম খরচ হয়েছে শুধু সিইএসসি এলাকায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটি টিউবলাইটে ২৫ ওয়াট বিদ্যুৎ খরচ হয়। ১১ কোটি ৯০ লক্ষ মেগাওয়াটের হিসেব করলে দেখা গিয়েছে, ৪ সেপ্টেম্বর রাতে কলকাতা এবং শহরতলির প্রায় ৪৪ লক্ষ মানুষ ঘরের আলো নিভিয়ে প্রতিবাদ (RG Kar Case) করেছিলেন। ফলে এই সংখ্যাটা কম নয়। বোঝা যায়, তা সমাজে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি রয়েছে। ঠিক তার আগে রবিবার রাতে আবার ‘রাত দখল’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন আন্দোলনরত পড়ুয়ারা।
আরও পড়ুনঃ অভয়ার খুনের দিন রক্ত ধুতে হাসপাতালের রুমে স্নান করেন জুনিয়র ডাক্তার! বিস্ফোরক তথ্য
নির্যাতিতার (RG Kar Case) জন্য ন্যায়বিচারের দাবিতে গত ১৪ অগাস্ট মেয়েদের রাত দখলের ডাক দিয়েছিলেন প্রতিবাদী মানুষ। জুনিয়র ডাক্তার, সাধারণ ছাত্র সমাজ, শিক্ষক, অধ্যাপক, আইনজীবী, ইঞ্জিনিয়ার, ইউ টিউবার-সহ সামজের একাধিক বর্গের মানুষ, বিভিন্ন সামজিক সংগঠন, রাজনৈতিক দল, স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে আন্দোলন করছেন। কলকাতার সঙ্গে দিল্লি, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, মুম্বই-সহ একাধিক শহরে আন্দোলনের প্রভাব ব্যাপক ভাবে পড়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।