Sanjoy Roy: মমতার সরকারের বিরুদ্ধে সঞ্জয়ের চাঞ্চল্যকর বক্তব্য, কাঠগড়ায় খোদ দফতর!…
ধৃত সঞ্জয়কে নেওয়া হচ্ছে শিয়ালদা আদালতে। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আসলদের বাঁচানোর জন্য আমাকে ফাঁসিয়েছে।” আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Case) চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের মামলায় অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায় প্রিজন ভ্যান থেকে চিৎকার করে এই কথা বলেছেন। সোমবার শিয়ালদা আদালতে তাঁকে তোলা হয়। ধৃতের বিরুদ্ধে এদিন চার্জ গঠন করা হয়েছে। মমতা সরকারের বিরুদ্ধে ধৃতের এদিন বক্তব্য ছিল স্পষ্ট। আরজি করের চেস্ট ডিপার্টমেন্ট নিয়ে তিনি আরও যে দাবি করেছেন, তা যদি সত্যি হয়, তাহলে তো রাজ্য সরকারের মুখ পুড়তে বাধ্য। কারণ, এটা স্পষ্ট যে এর মধ্যে প্রশাসনের একাংশ জড়িত। এদিন কড়া নিরাপত্তায় প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে শিয়ালদা আদালতে নিয়ে আসা হয় সঞ্জয়কে। অন্যদিকে, বিজেপি এদিন এই ইস্যুতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে।
আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Case) ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার বলেন, “আমি কিন্তু পুরোপুরি নির্দোষ। আসলদের বাঁচানোর জন্য আমাকে ফাঁসিয়েছে। আমি এত দিন চুপচাপ ছিলাম। আমি কিন্তু রেপ (ধর্ষণ) অ্যান্ড (এবং) মার্ডার (খুন) করিনি। আমার কথা শুনছে না। সরকারই আমাকে ফাঁসাচ্ছে। আমায় সব জায়গায় ভয় দেখাচ্ছে যে, তুমি কিছু বলবে না। আমার ডিপার্টমেন্টও আমায় ভয় দেখিয়েছে। আমি কিন্তু নির্দোষ।” রাজ্যের প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্যে প্রশাসনের একাংশ এখন কাঠগড়ায়। যদিও মামলায় প্রথম থেকেই পুলিশ এবং ডাক্তার সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে ছিল।
উল্লেখ্য সোমবার দুপুর ২ টো নাগাদ ধর্ষণ ও খুনের মামলায় অভিযুক্ত সিভিকের (RG Kar Case) বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। ঘটনার ৮৭ দিন এবং সিবিআইয়ের চার্জশিট পেশের ২৮ দিনের মাথায় মামলায় চার্জ গঠন হয়। এর পর শুরু হবে মামলায় বিচার প্রক্রিয়া। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বিচারকের সমানেও নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন অভিযুক্ত ধৃত সিভিক।
চার্জশিটে সিবিআই জানিয়েছিল, ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারই (RG Kar Case) মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় জড়িত। তার একাধিক প্রমাণও পাওয়া গিয়েছে। সংগৃহীত বয়ান, ভিডিয়ো এবং ফরেন্সিক বা সায়েন্টিফিক রিপোর্টের ভিত্তিতে ধৃতের বিরুদ্ধে মোট ১১টি ‘প্রমাণ’-এর উল্লেখ রয়েছে চার্জশিটে। পাশাপাশি চার্জশিটে ছিল আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের নামও। সেই সঙ্গে বলা হয় গোটা ঘটনার নেপথ্যে কোনও বৃহত্তর ষড়যন্ত্র রয়েছে।
ধৃত সঞ্জয় রায়ের (RG Kar Case) বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপি তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এটা প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ষণ-খুন। তিলোত্তমা এমন কিছু জেনে ফেলেছিল, তাকে শিক্ষা দিতে চেয়েছিল মমতা ঘনিষ্ঠ ডাক্তাররা। সঞ্জয় যা বলেছে, সেটা বঙ্গবাসীও মনে করে। ওপরতলার চাপে প্রমাণ লোপাট করতে বাধ্য হয়েছে পুলিশের নিচুতলা। এর জন্য দায়ী স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী। আমরা মমতার পদত্যাগ চাই।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।