BJP: স্বাস্থ্য ভবনকে ‘ঘুঘুর বাসা’ বললেন সুকান্ত, সরকারের ‘শিকড় উপড়ে ফেলা’র ডাক দিলেন শুভেন্দু...
আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে পথে বিজেপি। ছবি— প্রতীকী।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Hospital) কাণ্ডের প্রতিবাদে লাগাতার আন্দোলনে নামতে চলেছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। রবিবারই এক সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার দলীয় কর্মসূচির কথা বলেন। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল, চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ‘তিলোত্তমা’ বা ‘অভয়া’-র খুন-ধর্ষণের বিচার চেয়ে স্বাস্থ্যভবন ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছে বিজেপি (BJP)। একই দাবিতে এ সপ্তাহে শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে ধর্না কর্মসূচিরও আয়োজন করতে চলেছে গেরুয়া শিবির। সুকান্ত বলেন, ‘‘স্বাস্থ্য ভবন ঘুঘুর বাসা। আমরাও বিচার চাই। অবিলম্বে আসল অপরাধীদের গ্রেফতার করা হোক। সিবিআইকে বলব, পুলিশ এবং আরজিকর প্রশাসনের কর্তাদের মধ্যে টেলিফোনিক কথাবার্তায় নজর দিতে।’’
রবিবার বাংলা বিজেপির সভাপতি বলেন, ‘‘সিএম-এর পদত্যাগ চাই। সোমবার আদালতে যাব। ২০ অগাস্ট থেকে ২৩ অগাস্ট লাগাতার ধর্নায় বসবে দলের বিভিন্ন সেল। স্বাস্থ্য ভবনেও অভিযান চালানো হবে।’’ সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, ‘‘লকেট-সহ আমাদের যাঁদের নোটিশ পাঠানো হচ্ছে, তাঁরা লালবাজারে যাবেন না। অন্য কেউ যদি আমাদের তরফে আইনি সহায়তা চান আমরা দিতে প্রস্তুত। আরজিকর (RG Kar Hospital) ইস্যুতে লড়াই চালিয়ে যান।’’
সুকান্ত মজুমদার এ ব্যাপারে সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, আগামী মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত লাগাতার ধর্না চলবে। মঙ্গলবার ধর্না কর্মসূচির (RG Kar Hospital) প্রথম দিন উপস্থিত থাকবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার রাজ্য বিজেপির নেতাদের সঙ্গে ধর্নায় যোগ দেবেন দলের সাংসদেরা। বৃহস্পতিবার ধর্নামঞ্চে থাকবেন দলের সমস্ত শাখা সংগঠনের প্রতিনিধি এবং সদস্যেরা। শুক্রবার দলের মহিলা মোর্চার নেতৃত্বে ধর্না কর্মসূচি চলবে। সুকান্ত জানিয়েছেন, ধর্না কর্মসূচির বিষয়ে পুলিশের তরফে অনুমতি না মিললে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হবেন।
সোমবার রাখি পূর্ণিমার দিনও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় একাধিক কর্মসূচি রয়েছে গেরুয়া শিবিরের। কলকাতার ১৫টি জায়গায় এবং প্রতিটি জেলার বিভিন্ন এলাকায় ‘রাখিবন্ধন উৎসব’ পালন করবেন মহিলা মোর্চার সদস্যারা। প্রসঙ্গত, মহিলাদের সুরক্ষার কথা ভেবেই কর্মসূচি বলে জানিয়েছে গেরুয়া শিবির (BJP)।
রবিবারই পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, ‘‘যাঁরা ভোট দিয়ে এই সরকারকে এনেছিলেন, তাঁরা এবার বুঝুন। সময় এসেছে শিকড় থেকে উপড়ে ফেলার। যে কেউ নবান্ন চলোর ডাক দিন, আমি আছি। এই রাজ্যের সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে পারছে না। অন্যদিকে একটা খেলা যেখানে রাজনীতির সম্পর্ক নেই সেটাও আয়োজনে ব্যর্থ।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।