Malda Medical College: মালদা মেডিক্যাল কলেজে প্রবল বিক্ষোভ আরজি করের ‘বিতর্কিত’ অধ্যাপককে ঘিরে...
চিকিৎসক পড়ুয়াদের বিক্ষোভ (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar) হাসপাতালের চেস্ট মেডিসিন বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান অরুণাভ দত্ত চৌধুরীকে বদলি করা হয়েছিল মালদা মেডিক্যাল কলেজে। তিনিই ছিলেন আরজি করের নির্যাতিতা তরুণী চিকিৎসক-পড়ুয়া ‘অভয়া’-র বিভাগীয় প্রধান। ঘটনার পর তাঁকে বদলি করা হয় মালদা মেডিক্যালে। এখানেই কাজে যোগ দিতে এসে পড়ুয়াদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল তাঁকে। আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি, যতক্ষণ না পর্যন্ত সমস্ত অভিযোগ থেকে তিনি মুক্ত হচ্ছেন, মালদা মেডিক্যাল কলেজের (Malda Medical College) অধ্যাপক হিসেবে তাঁকে মেনে নেওয়া হবে না। এই ঘটনায় মালদা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন পড়ুয়াদের সঙ্গে এ নিয়ে তাঁরা বৈঠকে বসছেন।
প্রসঙ্গত, ঠিক দুদিন আগেই মালদা মেডিক্যাল (Malda Medical College) কলেজ হাসপাতালে বিক্ষোভকারী পড়ুয়ারা জানিয়ে দিয়েছিলেন যে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আবর্জনার স্তুপ নয়। আরজি কর (RG Kar) মেডিক্যাল কলেজের কোনও অধ্যাপককে মালদা মেডিক্যালে যোগ দিতে দেওয়া হবে না। যদি এমনটা হয় সেক্ষেত্রে মেডিক্যাল কলেজের তালা লাগিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন পড়ুয়ারা। তখনই বোঝা গিয়েছিল আরজি করের ওই অধ্যাপকের কাজে যোগ দেওয়া খুব সহজ হবে না। বৃহস্পতিবার সেই প্রমাণই মিলল।
প্রসঙ্গত, আরজি কর (RG Kar) কাণ্ডের পর থেকেই হাসপাতালের একাধিক চিকিৎসক পদাধিকারীর বিরুদ্ধে পড়ুয়াদের ব্যাপক ক্ষোভ দেখা গিয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম ছিলেন চেস্ট মেডিসিন বিভাগের ওই বিভাগীয় প্রধান। সেই মতোই স্বাস্থ্য দফতর তাঁকে ৩১ অগাস্টের মধ্যে মালদা মেডিক্যাল কলেজে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেয়। কাজে যোগ দিতে এসেই এমন পরিস্থিতি সম্মুখীন হতে হল তাঁকে।
বৃহস্পতিবারে কাজে যোগ দিতে এসে প্রথমেই অরুনাভ দত্ত চৌধুরী অধ্যক্ষের ঘরের দিকে যান। আন্দোলনরত পড়ুয়ারা তাঁর পিছু পিছু চলে যায়। সে সময় দেখা যায় যে অধ্যক্ষের ঘরেও অনেক জন অপেক্ষা করছেন। এই সময়ে প্রবল বিক্ষোভ দেখানো হয় অরুণাভ দত্ত চৌধুরীকে ঘিরে ধরে এবং তাঁকে মালদা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক হিসেবে কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া হবে না, এমন স্লোগান তুলতে থাকেন চিকিৎসক পড়ুয়ারা।
মালদা মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায় এবিষয়ে বলেন, ‘‘আজ উনি আমাদের কাছে এসেছেন। জয়েনিং অর্ডার নিয়ে এসে তিনি এই মেডিক্যালে কাজে যোগদান করতে চান বলে জানিয়েছেন। এতক্ষণ আমরা একটি মিটিংয়ে ব্যস্ত ছিলাম। আমরা বিষয়টি দেখছি। এনিয়ে আমরা পড়ুয়াদের সঙ্গেও কথা বলব। কথা বলব ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও। অরুণাভবাবু এখনও কাজে যোগ দেননি ৷ কাজে যোগ দেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন মাত্র।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।