img

Follow us on

Thursday, Sep 19, 2024

RG Kar: অভয়ার গবেষণাপত্র ‘জোর করে’ দেওয়া হয় অন্যজনকে! এটাই কি বিবাদের কারণ?

CBI: অভয়ার ‘থিসিস পেপার’ সিবিআইয়ের কাছে তদন্তের গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার, কেন?

img

মৃতার গবেষণা জোর করে দেওয়া হয় অন্য একজনকে, চাঞ্চল্যকর তথ্য সিবিআইয়ের হাতে (ফাইল ছবি)

  2024-09-09 18:04:54

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar) কাণ্ডে সিবিআইয়ের কাছে তদন্তের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হল নির্যাতিতার গবেষণাপত্র। এই গবেষণার বিষয়ে জানতে সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা মৃতার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে কথাও বলেছেন বলে জানা গিয়েছে। মৃতার ওই গবেষণাপত্র জোর করে অন্যজনকে দিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলেই খবর। তদন্তকারীরা জানতে চেষ্টা করছেন সেখান থেকেই কি গন্ডগোলের সূত্রপাত! প্রসঙ্গত নির্যাতিতার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু জানিয়েছেন, স্নাতকোত্তর স্তরে একটি থিসিস পেপার তাঁদের জমা (RG Kar) দিতে হয়। ওই পেপারটি জমা দেওয়ার নিয়ম থার্ড ইয়ারে। কিন্তু প্রথম বছর থেকেই সেই কাজ শুরু করে দিতে হয়। নিয়ম অনুযায়ী, কোনও সহকারী অধ্যাপককে জানাতে হয় থিসিস লেখার বিষয়টি এবং লিখিত আকারে তা এথিক্স কমিটিতে পাঠানো হয়। এথিক্স কমিটি পাশ করলে গবেষণার সারমর্ম পাঠানো হয় স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখান থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পরেই শুরু করা যায় মূল গবেষণা। নির্যাতিতার এক বন্ধু ইতিমধ্যে দাবি করেছেন, দ্বিতীয় বর্ষের মাঝামাঝি হয়ে যাওয়ার পরে নির্যাতিতার থিসিস পেপারের কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তারই মধ্যে তা হাত বদল করে দেওয়া হয় এবং জোর করে অন্য একজনকে দিয়ে দেওয়া হয়। 

ওই অধ্যাপক ও জুনিয়র ডাক্তার সিবিআইয়ের আতস কাচের তলায়

ওই থিসিস পেপার অন্য একজনকে দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন এক অধ্যাপক। যাঁকে ওই থিসিস পেপার দেওয়া হয়েছিল এবং ওই অধ্যাপক- দুজনেই এখন সিবিআই-এর আতসকাচের তলায় (CBI)। জানা গিয়েছে, প্রভাবশালী এক ব্যক্তির ছেলেই এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। এখানেই বারবার সন্দেহ দানা বাঁধছে যে জোর করে থিসিস পেপার অন্য কাউকে দিয়ে দেওয়ার হল সেখান থেকেই কি গন্ডগোলের সূত্রপাত? মৃতার এক বিশেষ বন্ধুর বলছেন, ‘‘প্রভাবশালী এক জনের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ একটি ছেলে নানা কলকাঠি নেড়েছে। নানা দিক দিয়ে প্রভাব খাটিয়ে চাপ তৈরির চেষ্টা করেছে। এর প্রতিবাদ করার খেসারত দিতে হল কি না, সেটা তদন্ত করে বার করা হোক।’’

কী বলছেন মৃতার বাবা

মৃতার বাবা এ বিষয়ে বলেন, ‘‘অনেকেই জানতে চেয়েছেন, সন্দেহজনক কিছু দেখেছি কি না। মেয়ে কিছু বলত কি না। একটাই বিষয় আমাদের ভাবাচ্ছে। মেয়ে বলেছিল, ওর লেখা থিসিস পেপার (RG Kar) অন্য এক জনকে দিয়ে দেন ভিপি (ভিজিটিং প্রফেসর)। মেয়েকে তিনি হঠাৎ করে বলেন, তুই অন্য একটা বানিয়ে নিস। প্রথমে কিছু মনে হয়নি। আমার মেয়ে পড়াশোনায় যেমন ভালো ছিল, তাতে নতুন পেপার করা ওর জন্য কোনও ব্যাপার নয়। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, কী উদ্দেশ্যে এটা করা হতে পারে? তবে কি কারও নিশানায় পড়ে গিয়েছিল মেয়ে?’’

ভেঙে পড়েছিলেন নির্যাতিতা (RG Kar)

নির্যাতিতার অন্য এক বন্ধুর দাবি, ‘‘দ্বিতীয় বর্ষের মাঝামাঝি সময় হয়ে গিয়েছে বলে কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিল ওর গবেষণাপত্রের। এর মধ্যে হঠাৎ ওকে (মৃতাকে) ডেকে বলা হয়, তুই অন্য একটা বানিয়ে নিস। এই বিষয়টা ভালো, ওকে (মৃতা যে বর্ষের পড়ুয়া ছিলেন, সেই বর্ষেরই আর এক জনের নাম করে) দিয়ে দিচ্ছি। স্বাভাবিক ভাবেই ভেঙে পড়েছিল ও (মৃতা)।’’ তাঁর আরও দাবি, ‘‘সিনিয়রদের অনেক গবেষণাপত্র নিয়ে একটু অদলবদল করে কাজ চালিয়ে দিতেও দেখা গিয়েছে। কিন্তু এক জনের নিজস্ব ভাবনা অন্য এক জনকে দিয়ে দেওয়ার এই ব্যাপার আগে দেখিনি।’’

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Tags:

cbi

bangla news

rg kar

madhyom news

news in bengali

rg kar victims thesis paper


আরও খবর


ছবিতে খবর