RG Kar Father of Victim: ‘মেয়েকে দাহ করতে বাধ্য হই, মিথ্যা বলছে পুলিশ’, আরজি কর কাণ্ডে বিরাট অভিযোগ নির্যাতিতার বাবা-মায়ের...
আরজি করের ঘটনায় বিক্ষোভ।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি চাননি মেয়েকে দ্রুত দাহ করা হোক। কিন্তু থানায় ও তাঁর বাড়িতে যেভাবে ৩০০-৪০০ করে পুলিশ ঘিরে রেখেছিল, তারপর আর কিছু করার ছিল না তাঁর। সেই কারণেই ওই রাতে মেয়ের দেহ দাহ করতে বাধ্য হন বলে জানালেন আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Incident) নির্যাতিতার বাবা। প্রায় এক মাস হতে চলল। গত ৯ অগাস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ, তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। আর পুরো ঘটনা সুকৌশলে চাপা দিতে বদ্ধ পরিকর ছিল পুলিশ। কিন্তু কেন?
বুধবার তিলোত্তমার জন্য ‘বিচার পেতে আলোর পথে’ নামে কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন। আরজি করেও সেই কর্মসূচি পালন করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন নির্যাতিতার পরিবার। সেখানেই পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। তাঁদের অভিযোগ, “টাকা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল পুলিশ। কেন? এই প্রশ্নের উত্তর চাই।” আরজি করে (RG Kar Incident) গিয়ে নির্যাতিতার বাবা কয়েকটি প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেছেন, ‘‘হাসপাতালের তরফে কী ভাবে কোনও পরীক্ষা ছাড়াই বলা হল, আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন? সে দিন মেয়ের মুখ দেখতে আমাদের সাড়ে তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছিল। ওর মা ওঁদের হাতে-পায়ে ধরেছেন মেয়ের মুখ দেখার জন্য। কেন ময়নাতদন্ত করতে দেরি হল? আমি টালা থানায় এফআইআর করি সন্ধ্যা সাড়ে ৬’টা থেকে ৭টার মধ্যে। কিন্তু সেই এফআইআর রাত পৌনে ১২টায় নথিভুক্ত হল কেন? পুলিশ কেন অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করল?’’
আরও পড়ুন: রাতে রাজপথে জনস্রোত! ‘তিলোত্তমা’র স্মৃতিতে আলো নিভিয়ে বাতি জ্বালাল কলকাতা
মেয়ের মৃত্যুর (RG Kar Incident) ক্ষত এখনও দগদগে। এরই মধ্যে পুলিশের বিরুদ্ধে টাকা দেওয়ার অভিযোগ তুললেন নির্যাতিতার বাবা। তিনি বলেন, “আমার ঘরে তখনও আমার মেয়ের দেহ শোয়ানো। পাশের ঘরে ডেকে নিয়ে গিয়ে ডিসি সেন্ট্রাল আমাকে টাকা দিতে চেয়েছিলেন। আমরা আমাদের মতো জবাব দিই। সাদা কাগজে সই করানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। আমি সেই কাগজ ছিঁড়ে ফেলে দিই।” সে দিন রাতে কীভাবে তাঁর মেয়ের দেহ নিয়ে যাওয়া হল, সেই বর্ণনাও দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, “দেহ রেখে দিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আমাদের ওপর প্রেসার তৈরি করা হয়েছিল। টালা থানায় এক ঘণ্টা বসেছিলাম। তারপর বাধ্য হয়ে বাড়ি ফিরে যাই। বাড়ি গিয়ে দেখি সেখানে ৪০০ পুলিশ দাঁড়িয়ে আছে। তখন আর আমাদের কিছু করার ছিল না দেহ পোড়াতে বাধ্য হই। কিন্তু সেদিন শ্মশানের খরচ কারা দিল, আমরা জানতে পারিনি আজ পর্যন্ত। আমার মেয়ে বোধ হয় বলে গেল, আমার বাপি এই টাকাটাও খরচ করতে পারল না! এই প্রশ্নের উত্তর কে দেবে।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।