Sanjay Roy: জেলে বিক্ষোভের মুখে পড়তে পারে সঞ্জয়?
অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Incident) অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের ঠাঁই হল প্রেসিডেন্সি জেলে। প্রসঙ্গত এই জেলেই রয়েছেন রাজ্যের দুই প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এবার তাঁদেরই প্রতিবেশী হল আরজি করের ধৃত সঞ্জয় রায়। আপাতত তার ঠিকানা হয়েছে প্রেসিডেন্সি জেলের পহেলা বাইশ ওয়ার্ডের ২১ নম্বর সেলে। ওই ওয়ার্ডেরই দু'নম্বর সেলে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ২০২২ সালে গ্রেফতার করা হয়। পহেলা বাইশের পাঁচ নম্বর কুঠুরিতে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, হাবিব নামে খুনে অভিযুক্ত এক বন্দি এতদিন থাকতেন পহেলা বাইশের ২১ নম্বর সেলে। ওই সেলই এবার বরাদ্দ করা হয়েছে সঞ্জয়ের জন্য। সে কারণে ইতিমধ্যেই হাবিবকে সরিয়ে নিয়েছে জেল কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে, অভিযুক্ত সঞ্জয়কে জেলে অন্যান্য বন্দিরা ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে পারে, সে আশঙ্কাও থেকেই যাচ্ছে। কারণ দু'বছর আগে গ্রেফতার হওয়া পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে এই ধরনের বিক্ষোভের মুখেই পড়তে হয়েছিল। তবে এই ধরনের সেলগুলির ওপর বাড়তি নজরদারি রাখে জেল কর্তৃপক্ষ। কুখ্যাত অভিযুক্তদেরই এই সেলে রাখা হয়। সর্বক্ষণ চলে সিসিটিভির নজরদারি। দেখা হয় বন্দিদের গতিবিধি। প্রসঙ্গত শুক্রবারই শিয়ালদা অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে সঞ্জয়কে (RG Kar Incident) তোলা হয়েছিল। সেখানেও কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে পুলিশ। এর পরে আদালত সঞ্জয়কে ১৪দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠায়।
শুক্রবার সঞ্জয়কে কারাগারে নিয়ে আসার আগে জেল হাসপাতালে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। জেলের মেডিক্যাল টিম দ্বিতীয় দফায় (RG Kar Incident) ফের একবার পহেলা বাইশ ওয়ার্ডে সঞ্জয়ের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে। অন্যদিকে, অভিযুক্তের পলিগ্রাফ টেস্টের জন্য আবেদন করেছিল সিবিআই। আদালত সেই আবেদনের সম্মতি দিয়েছে। খুন-ধর্ষণের মামলার পাশাপাশি আরজি করে সন্দীপ ঘোষের আমলে যে আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে, তারও তদন্ত এবার সিবিআইকে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ এই নির্দেশ দিয়েছেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।