CBI: নারকো পরীক্ষায় রাজি নন সন্দীপ! পলিগ্রাফে অনীহা অভিজিতের, এবার কী করতে চলেছে সিবিআই?
জেল হেফাজতেই সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডল। ফাইল ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ডে ধৃত সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল মূল ঘটনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে কিনা, তার তদন্ত এখনও চলছে। তবে তাঁরা বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত। শুক্রবার আদালতে বিচারক অভিজিৎ মণ্ডলের এজলাসে এমনই দাবি করল সিবিআই।
সিবিআই-এর তরফে আদালতে জানানো হয়, অভিজিৎ মণ্ডলের মোবাইল থেকে কিছু ভিডিও মিলেছে, যা ‘তদন্তসাপেক্ষ’। আরও কিছু ডিজিট্যাল তথ্য সংগ্রহ করার লক্ষ্যেই ধৃতদের আরও ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতের আবদেন জানান সিবিআইয়ের আইনজীবী। তদন্তকারী সংস্থার তরফে ধৃত দু’জনের নারকো ও পলিগ্রাফ টেস্ট করার আবেদন করা হয়। তবে, নারকো টেস্টের জন্য রাজি হননি সন্দীপ ঘোষ। অন্যদিকে, পলিগ্রাফ টেস্টের জন্য রাজি হননি অভিজিৎ মণ্ডল। আরজি করের চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে তাঁদের গ্রেফতার করে সিবিআই। শুক্রবার সিবিআই আদালতে দাবি করেছে, সন্দীপ এবং অভিজিতের ফোন থেকে কিছু ‘তদন্তসাপেক্ষ’ ভিডিও পাওয়া গিয়েছে। তদন্তকারী সংস্থার আরও দাবি, ঘটনা চাপা দিতে ধৃতদের মোবাইল থেকে বেশ কিছু ফোন কলও করা হয়েছিল। কয়েক জন সাক্ষীকে ফোন করেছিলেন তাঁরা। এই বিষয়গুলিই বেশি করে খতিয়ে দেখতে চাইছে বলে আদালতে জানায় সিবিআই।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতেই বাংলায় উপনির্বাচন, সব বুথে হবে ওয়েব কাস্টিংও
জামিনের বিরোধিতা করে সিবিআইয়ের বক্তব্য, ধৃত দু’জনই প্রভাবশালী। তাঁরা জামিন পেলে তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে। ধৃতরা মূল ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কিনা বা তার পূর্ব পরিকল্পনা ছিল কিনা তার তদন্ত চলছে। টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের আইনজীবীর প্রশ্ন, “সিএফএসএল-এর রিপোর্ট পেয়ে যাওয়ার পর আবার কী রিপোর্ট করাবে? আমার মক্কেল যাওয়ার আগে অনেকেই ঘটনাস্থলে গিয়েছিল।” সন্দীপ ঘোষের আইনজীবীর বক্তব্য, “আমার মক্কেলকে গ্রেফতারের কোনও কারণ আজও জানানো হয়নি।” সিবিআইয়ের তরফে আইনজীবী আদালতে জানান, “সঞ্জয় রায়ের কিছু বায়োলজিক্যাল এভিডেন্স পেয়েছি। ঘটনাস্থল থেকে যা প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে, তার ভিত্তিতে প্রথম চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।” সিবিআই আদালতে জানায়, এখন দেখা হচ্ছে যে ঘটনার সঙ্গে অর্থাৎ মূল ষড়যন্ত্রের সঙ্গে ধৃতদের কোনও যোগাযোগ রয়েছে কিনা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।