Sandip Ghosh: অভিযোগ গুরুতর, দোষ প্রমাণে মৃত্যুদণ্ড! জামিন খারিজ সন্দীপ-অভিজিতের
আরজি কর কাণ্ডে সন্দীপ ঘোষের জামিন খারিজ। ফাইল ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করে (RG Kar Incident) তরুণী শিক্ষানবিশ চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুন মামলায় দোষ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ শাস্তি অর্থাৎ মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে সন্দীপ ঘোষের (Sandip Ghosh)। এই অপরাধকে বিরলের মধ্যে বিরলতম আখ্যা দিয়েছে আদালত। ঘটনার দিন রাতে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ভিতর ঠিক কী হয়েছিল, সেই উত্তর খোঁজার চেষ্টা চলছে এখনও।
আরজি করে (RG Kar Incident) পড়ুয়া চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন খোদ ওই মেডিক্যাল কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh)। গ্রেফতার হয়েছেন টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে একের পর এক তথ্য প্রমাণ পেশ করেছে সিবিআই। গত বুধবারই এই দু’জনের জামিনের আর্জি নামঞ্জুর করে আদালত। কিন্তু তাঁদের জামিন যে যুক্তিতে বিচারক খারিজ করেছেন, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন আইনজ্ঞদের একাংশ।
শিয়ালদা কোর্টের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাঁর নির্দেশে যে ভাবে অভিযুক্তদের সামাজিক অবস্থান ও অপরাধের গুরুত্ব বিচার করে জামিন-আর্জি খারিজ করেছেন, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ বলে মত আইনজীবীদের বড় অংশের। বিচারক তাঁর রায়ে বলেছেন, ‘‘দু’জনের সামাজিক অবস্থান মোটেই উপেক্ষা করার মতো নয়। অন্যদিকে, এই মামলায় যে অভিযোগ উঠেছে, তা অত্যন্ত গুরুতর এবং অপরাধ প্রমাণে বিরলের মধ্যে বিরলতম হিসেবে মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে। তাই দু’জনকে জামিন দেওয়া হলে তা বিচার ব্যবস্থায় সমানাধিকারের পরিপন্থী হবে বলে মনে করছে আদালত।’’
আরও পড়ুন: হিন্দু ছাত্রীদের হিজাব পরতে নির্দেশ, বিক্ষোভে উত্তাল ঢাকার বালিকা বিদ্যালয়
বিচারক এটাও পরিষ্কার করে দিয়েছেন, কেউ কোনও অপরাধের অকুস্থলে না-থাকলেই তিনি অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন না, এটা ভাবার কোনও কারণ নেই। কেউ অন্যদের সহযোগিতায় অপরাধ করিয়ে থাকতে পারেন। সেই কারণেই ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩(৫) (পূর্বতন ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪ ধারা, যার অর্থ একই উদ্দেশ্যে অপরাধ) ধারা প্রয়োগ করা যায়। শুধুমাত্র খুন ও ধর্ষণের মামলায় নয়, দুর্নীতির মামলাতেও সন্দীপের (Sandip Ghosh) বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। সেই মামলাতেই প্রথম গ্রেফতার হন তিনি। তাঁর আমলে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে বড় দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সেই দুর্নীতি আড়াল করতেই এই খুন নয় তো? এমন প্রশ্নও উঠছে। আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তার ও নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, এর পিছনে বড় ষড়যন্ত্র (RG Kar Incident) রয়েছে। অনেকে এর সঙ্গে জড়িত। সিবিআই সেই দিকটিও খতিয়ে দেখছে এবং তার সূত্র ধরে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের খোঁজে তদন্ত চালাচ্ছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।