Junior Doctor: আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা জুনিয়র ডাক্তারদের
আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা জুনিয়র ডাক্তারদের (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল মঙ্গলবারই ছিল সুপ্রিম কোর্টের শুনানি। এই দিনই বিকাল চারটে থেকে জেনারেল বডির বৈঠক শুরু করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। বৈঠক চলে গভীর রাত পর্যন্ত। একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয় এই বৈঠকে এবং এরপরেই তাঁদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হয়। আন্দোলন (RG Kar) চালিয়ে যাওয়ার কথাই এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে ঘোষণা করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁদের অভিযোগ সব দাবি পূরণ করেননি মুখ্যমন্ত্রী। আন্দোলনকারীদের দাবি মতো স্বাস্থ্য সচিব, ডিসি সেন্ট্রাল - এই দুজনকে সরানো হয়নি। একই সঙ্গে নিরাপত্তা জোরদার করার বদলে রাজ্য মহিলা ডাক্তার-নার্সদের রাতে ডিউটি দেবেনা বলেছে, এরফলে নারী-পুরুষ বৈষম্য তৈরি হবে বলে মনে করছেন ডাক্তাররা (Junior Doctor)।
প্রসঙ্গত জুনিয়র চিকিৎসকদের পাঁচটি দাবি। তাঁদের প্রথম দাবি, আরজি কর কাণ্ডের বিচার। দ্বিতীয় দাবি, প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ, যদিও তিনি এখন জেলে, (রাজ্য অবশ্য সন্দীপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বদলে তাঁকে প্রাইজ পোস্টিং দিয়েছিল)। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিকর্তা এবং স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তার অপসারণ। মঙ্গলবার, স্বাস্থ্য অধিকর্তা এবং স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তার বদলি হলেও, স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমকে সরায়নি রাজ্য।
জুনিয়র ডাক্তারদের তৃতীয় দাবি ছিল, পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের অপসারণ, এর পাশাপাশি ডিসি নর্থ ও ডিসি সেন্ট্রালের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ। মঙ্গলবার বিনীত গোয়েলকে সরিয়ে এসটিএফের এডিজি করা হয়। ডিসি নর্থ থেকে সরিয়ে অভিষেক গুপ্তকে ইএফআর-এ পাঠানো হয়। কিন্তু, ডিসি সেন্ট্রাস ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়কে সরানো হয়নি।
চতুর্থ দাবি, হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা ব্য়বস্থা জোরদার করা। যা এখনও সম্পন্ন হয়নি। এই নিয়ে মঙ্গলবারের সুপ্রিম-শুনানিতেও ভর্ৎসিত হয়েছে রাজ্য। পঞ্চম দাবি, জুনিয়র ডাক্তারদের ওপর ভীতি প্রদর্শনের সংস্কৃতি বন্ধ করা। সূত্রের খবর, জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, তিনি নাকি থ্রেট কালচার সম্পর্কে জানতেন না।
আন্দোলনকারীদের (Junior Doctor) কথায়, ‘‘মহিলা চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্থ্য কর্মীদের রাতের পরিবর্তে দিনের ডিউটি দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে রাজ্য তার আমরা বিরোধিতা করছি। এর ফলে নারী-পুরুষ বৈষম্য তৈরি হবে। পরিকাঠামো উন্নয়ন না করে শুধু নিরাপত্তা কর্মী দিয়ে হাসপাতালের সুরক্ষা সম্ভব নয়। বহু হাসপাতালে জীবনদায়ী ওষুধ থাকে না। ফলে কাজ করতে গিয়ে রোগীর পরিজনদের হাতে আক্রান্ত হতে হয়। তাই নিরাপত্তা-সহ এই দাবিগুলি যাতে দ্রুত পূরণ হয়, তা নিয়ে আরও আলোচনা জরুরি।’’ আন্দোলনকারীদের কথায়, ‘‘সরকারি হাসপাতালগুলিতে এখনও পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসিটিভি কিংবা নিরাপত্তারক্ষী এখনও মোতায়েন হয়নি। বহু জায়গায় নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যাও প্রয়োজনের তুলনায় কম। কাজে ফেরার আগে এগুলো পূরণ হওয়া জরুরি।’’
ডাক্তার অনিকেত মাহাতো বলেন, ‘‘হাসপাতালগুলিতে একাধিক সমস্যা রয়েছে। সেই সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য আমরা কলেজ ভিত্তিক টাস্ক ফোর্স গঠনের দাবি করেছিলাম। সেই দাবি অনুযায়ী, একটি টাস্ক ফোর্স গঠনের আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্য়মন্ত্রী। কিন্তু সেটা কীভাবে কাজ করবে, তা আমাদের কাছে এখনও অস্পষ্ট। এছাড়াও, রোগীকল্যাণ সমিতি ভেঙে দেওয়ার নির্দেশের কপি এখনও পাননি তাঁরা। এই সমস্ত দাবি নিয়েই বুধবার মুখ্যসচিবকে চিঠি দিচ্ছেন জুনিয়ার চিকিৎসকরা (RG Kar)। চিঠিতে ফের আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেবেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।