Suvendu Adhikari: আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলার রায়ে অখুশি সুকান্ত-শুভেন্দু
আরজি করের রায়ে খুশি নন শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল চিত্র
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডের (RG Kar Rape and Murder Case) রায়ে খুশি নন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। যে জঘন্য, নিকৃষ্ট অপরাধ সঞ্জয় রায় করেছে, তাতে তার যাবজ্জীবনের সাজা মোটেই যথেষ্ট নয়। তাকে 'ক্ষুধার্ত নেকড়ের সামনে ছেড়ে দেওয়া উচিত' বলে মন্তব্য করলেন শুভেন্দু।
সোমবার বিকেলে আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Rape and Murder Case) সাজা ঘোষণা করেন বিচারক অনির্বাণ দাস। আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দেন একমাত্র দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়কে। এই রায় নিয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য করতে চাননি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে তিনি তাঁর ব্যক্তিগত মতামত দিয়েছেন। শুভেন্দু এদিন বলেন, '৩০টা পয়েন্ট বলেছে। যাতে আরও অনেকের জড়িত থাকার সম্ভাবনা আছে। সিবিআই চার্জশিটে এটা ওপেন রেখেছে। কিন্তু কথা সেটা নয়, কথা হল, যে বিচারকের হাতে যে ক্ষমতা ছিল, তাতে তিনি সর্বোচ্চ সাজার চার্জ ফ্রেম করেছিলেন শনিবার। তাঁর হাতে দুটো অপশন ছিল। এক, তিনি যাবজ্জীবন দিতে পারতেন, অথবা মৃত্যুদণ্ড।'
আরও পড়ুন: প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ায় অভিনন্দন, জয়শঙ্করের হাত দিয়ে বন্ধু ট্রাম্পকে চিঠি মোদির
শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, 'বিচারক আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন, সেটা তাঁর এক্তিয়ার। সেটা নিয়ে আমি প্রশ্ন করছি না। কিন্তু আমি বলতে চাই, সমাজ, জনগণ, পরিবার কেউ এই রায়ে খুশি নয়। আমি নিজে খুশি নই এই রায়ে। এদের জীবজন্তুর সঙ্গে তুলনা করাও মুশকিল। এদের ক্ষুধার্ত নেকড়ের সামনে ছেড়ে দেওয়া উচিত।' সবশেষে তিনি বলেন, 'পরিবার উচ্চ আদালতে যাবে, আমরা সঙ্গে আছি।' সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'কোর্টের নির্দেশের ওপর আমরা কিছু বলতে পারি না। আমরা চাইছিলাম সর্বোচ্চ শাস্তি হোক। তবে সেই শাস্তি হয়নি। কোর্টের রায় সম্পর্কে আমি কিছু বলতে পারব না। ক্ষতিপূরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "টাকায় কী হবে! বাংলার মানুষ বিশ্বাস করেন না যে সঞ্জয় রায় একলা ছিলেন। কোর্টের রায় সম্পর্কে আমি কিছু বলব না। তবে মনে হয় আরও তদন্তের প্রয়োজন। এই ঘটনায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কারা জড়িত সেটা প্রকাশ্য়ে আসুক।"
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।