Corruption Nexus: “টাকা না দিলে বলা হতো নিজেরাই স্টিচ করে নিন”! দুর্নীতির চাঞ্চল্যকর তথ্য আরজি করে...
আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগ। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে হত্যাকাণ্ড নিয়ে রাজ্য রাজনীতি ব্যাপক তোলপাড়। তৃণমূল ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের একাধিক দুর্নীতির (Corruption Nexus) কথা উঠে এসেছে। হাসপাতালের মর্গে রাখা থাকত মদ। চিকিৎসালয় যেন রীতিমত পানশালায় পরিণত করেছিলেন এই অধ্যক্ষ। একই ভাবে মৃতদেহ নিয়ে চলত দালাল চক্র। ময়নাতদন্ত থেকে বাড়িতে পৌঁছানো, সবটাই চলত প্যাকেজ সিস্টেমে। একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ করেন হাসপাতালের (RG Kar Rape-Murder) ফরেন্সিক মেডিসিন বিভাগের প্রাক্তন হেড-ক্লার্ক (Head clerk) তারক চট্টোপাধ্যায়।
আরজি কর হাসপাতালের (RG Kar Rape-Murder) কর্মী তারক চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, “মদ খাইয়ে কিছু লোককে হাতে রাখতেন সন্দীপ ঘোষ। গেস্ট হাউসে তাঁর প্রত্যক্ষ মদতে বসত মদের আসর। কয়েকজন জুনিয়র ডাক্তার এবং বাউন্সারের গ্রুপ ছিল তাঁর। পড়াশুনায় পাশ-ফেলের বিষয় একক ভাবে দেখতেন নিজে তিনি। কাছের ছাত্রদের মদ খাওয়াতেন। তাঁর অনুগামী হলে ফেল করার সম্ভাবনা থাকত না। বাইরে থেকে লোক এলে গেস্ট হাউসে বসত মদের আসর। মর্গের কর্মী সন্তোষ, তাঁর অনুগামী ছিলেন। মর্গের পাশে বসার ঘরকে রীতিমতো পানশালা বানিয়ে তুলেছিলেন। একই ভাবে মর্গেই রাখা থাকত মদের বোতল।”
আরও পড়ুনঃ আরজি করের ‘দুর্নীতি’তে সিবিআই রেডারে সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ ২ জন, কীভাবে চলত চক্র?
একই ভাবে আগেই (RG Kar Rape-Murder) প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন এবং স্ত্রী কাকলি সেন, হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক হয়েছেন। আবার প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলিও সন্দীপের বিরুদ্ধে একাধিক চাঞ্চাল্য অভিযোগ তুলেছেন। এবার তারক চট্টোপাধ্যায় বিস্ফোরক মন্তব্য করে বলেছেন, “মৃতদেহ প্রতি ১০ হাজার করে টাকা নেওয়া হতো (Corruption Nexus)। দেহের ময়নাতদন্তের পর স্টিচ করতে হতো মোটা টাকা দিয়ে। টাকা না দিলে বলা হতো, নিজেরাই স্টিচ করে নিন। ভয়ে টাকা দিতে বাধ্য হতেন মৃতের পরিবার। অতিরিক্ত সময়ে মর্গে দেহ রাখতেও নেওয়া হতো মোটা টাকা। অনেক সময় মৃতার পরিবার আর্থিক ভাবে সক্ষম না হলে, কাটা বডি দেখিয়ে জোর করে ৫০০, ১০০০, ২০০০, ৫০০০ করে টাকা নেওয়া হতো।"
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।