Food Bill: ‘বিচার চায় তিলোত্তমা’, ব্যান্ডেলে অভিনব প্রতিবাদ ক্লাউড কিচেনের…
বিচার চেয়ে খাবারের বিলে প্রতিবাদ। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Rape-Murder) নির্যাতিতার ন্যায় বিচার এবং দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে কলকাতা সহ সারা দেশ এখন উত্তাল। একদিকে যেমন মিছিল-মিটিং, সভা-সমিতি, ধর্না, অবস্থান বিক্ষোভ, থানা ঘেরাও সহ একাধিক কর্মসূচি পালিত হয়েছে। তেমনি আবার শুরু হয়েছে প্রতীকী মৌন প্রতিবাদ। ডাক্তাররা আগেই নিজেদের প্রেসক্রিপশনে ‘বিচার চাই’ লিখে রোগীর পরিষেবা দিচ্ছিলেন। এবার ব্যান্ডেলের এক ক্লাউড কিচেনের পক্ষ থেকে অভিনব প্রতিবাদের সূচনা করা হল। বহুজাতিক খাদ্য সরবরাহকারী অ্যাপে খাবার ডেলিভারি করার সময় বিলে (Food Bill) লেখা হল, ‘আরজি করের জন্য ন্যায় বিচার চাই।’ এই বিল এখন বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছে।
ব্যান্ডেলের নারায়ণপুর কলোনির বাসিন্দা শুচিস্মিতা ভট্টাচার্য ও প্রবীর ভট্টাচার্য। গত তিন বছর ধরে একটি ক্লাউড কিচেন চালান। মূলত অনলাইনে খাদ্য সরবরাহকারী অ্যাপের মাধ্যমেই খাবার গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেন তাঁরা। কাজের জন্য আন্দোলনে যেতে পরেননি। তাই অভিনব ভাবে প্রতিবাদের হাতিয়ার বেছে নিয়েছেন। ‘ফ্লেভার হোম সার্ভিস’-এর বিলে লেখা রয়েছে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস ফর আরজিকর (RG Kar Rape-Murder)।’ শুচিস্মিতা বলেন,“পশ্চিমবঙ্গের নারীরা কী সত্যই সুরক্ষিত? হাসপাতলের কর্মক্ষেত্রে কী মহিলা চিকিৎসকেরা সুরক্ষিত? ব্যবসা সামলাতে গিয়ে প্রতিবাদ মিছিলে যোগদান করতে পারিনি। তাই আমার প্রতিবাদ লিখে করলাম। তিলোত্তমার উপর নির্যাতনের দিন থেকেই মেনে নিতে পারছিলাম না। আমার ছেলে সাগ্নিক এই ভাবনার কথা আমায় বলেছে। ১ সেপ্টেম্বর থেকে সমস্ত বিলে (Food Bill) লিখে আমরা প্রতিবাদ শুরু করেছি। বিচার না পাওয়া পর্যন্ত এই প্রতিবাদ আমাদের চলবে।”
আরও পড়ুনঃ চার ছাত্রের গ্রেফতারি ‘বেআইনি’, পুলিশকে ‘বিধি মানার’ নির্দেশ বিচারপতির
ডাক্তাররা আগেই নিজের প্রেসক্রিপশনে অভয়ার বিচার চাই লিখে প্রতিবাদ শুরু করেছেন। এবার আরজি কর হাসপাতালের (RG Kar Rape-Murder) প্রাক্তন ছাত্র দেবব্রত দাস প্রতিবাদ জানিয়ে লাল কালির স্ট্যাম্পে লিখেছেন, “আর জি করের বিচার চাই, অপরাধ চক্রের বিনাশ চাই।” তিনি রামপুরহাট গভঃ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতলের প্রাক্তন কনসালট্যান্ট ল্যাপরোস্কোপিক সার্জেন। তিনি বলেন, “প্রেসক্রিপশন প্রতিটি মানুষের পাশাপাশি ওষুধের দোকানেও চলে যাচ্ছে। সারা ভারতে যে আমাদের সংগঠন রয়েছে সেখানেও আমার প্রেসক্রিপশন পাঠিয়ে দিয়ে প্রতিবাদের ভাষা তুলে ধরেছি। পশ্চিমবঙ্গের বাইরে প্রতিবাদের এই ভাষা ইংরেজিতেও লেখা হয়েছে”। একই ভাবে স্থানীয় রোগীর হাতে হাতে এই প্রেসক্রিপশন তুলে দিচ্ছেন। সামজিক মাধ্যমে এ রকম প্রতিবাদ যাতে সবাই করেন, সেই আবেদনও করেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।