রিষড়ায় ধীরে ধীরে খুলছে দোকানপাট, পুলিশি টহল অব্যাহত
রিষড়ায় চলছে পুলিশি টহল, পুলিশ কমিশনারেটে লকেট
মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বুধবার থেকে কিছুটা হলেও স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে রিষড়া (Rishra)। রিষড়ার ৪ নম্বর রেলগেটের কাছে হাতেগোনা দু-একটি মুদিখানা, সব্জির দোকান খুলেছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্ক কাটিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে কেনাকাটাও করেছেন। তবে, রাস্তায় এদিন কোনও জটলা করতে দেয়নি পুলিশ। গোটা রিষড়া (Rishra) জুড়ে প্রায় ৭০০ পুলিশ কর্মী মোতায়েন রয়েছে। এদিন এলাকায় দিনভর পুলিশি টহল রয়েছে। রিষড়া, শ্রীরামপুর দুজায়গায় এদিনও ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। উত্তেজনাপ্রবণ এলাকায় বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। চন্দননগর ও হুগলি গ্রামীণ পুলিশের পাশাপাশি পরিস্থিতি সামাল দিতে পাঠানো হয়েছে হাওড়া সিটি পুলিশ। বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। রিষড়ার (Rishra) ৪ নম্বর রেল গেট এলাকায় অশান্তির জেরে সোমবার রাতে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। মঙ্গলবারও আতঙ্কে বিস্তীর্ণ এলাকা একেবারে থমথমে ছিল। এমনকী ব্যান্ডেল-হাওড়া লাইনে মঙ্গলবার লোকাল ট্রেনও খাঁ খাঁ করেছিল। তবে, বুধবার ট্রেনে যাত্রীদের ভিড় ছিল।
পুলিশ কমিশনারেটে ডেপুটেশন দিয়ে কী বললেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়?
মঙ্গলবার বালি থেকে ট্রেন রুটে রিষড়ায় (Rishra) গিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। ট্রেন থেকে নামার পর ব্যাপক পুলিশি বাধার মুখে পড়েন তিনি। পূর্ব ঘোষণা মতো রিষড়াকাণ্ড ইস্যুতে বুধবার হুগলির চুঁচুড়ার ঘড়ি মোড়ে বিজেপি কর্মীরা জমায়েত হন। বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ সেখানে হাজির হন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তিনি পুলিশ কমিশনারেট অফিসের দিকে যান। বিজেপি-র ডেপুটেশন কর্মসূচির জন্য আগে থেকেই পুলিশ কমিশনারেটের অফিসের সামনে গার্ডরেল দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। সেখানে প্রচুর পুলিশ কর্মী মোতায়েন ছিল। ফলে, বিজেপি কর্মীরা কমিশনারেটের অফিসের সামনে আসতেই পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক ধস্তাধস্তি হয়। পরে, লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল পুলিশ কমিশনারের অফিসে যান। তবে, পুলিশ কমিশনার না থাকায় ডিসি (সদর) মিসেস নিধিরানির কাছে তাঁরা ডেপুটেশন জমা দেন। ডেপুটেশন দিয়ে বেরিয়ে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, খেলনা পিস্তল নিয়ে একজনকে রিষড়া থেকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। আর যারা ট্রেনে পাথর ছুঁড়ল, এলাকায় হামলা চালাল পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিল না। সাগরদিঘিতে ভরাডুবি হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী পরিকল্পিতভাবে এসব করছে। যারজন্য হনুমান জয়ন্তীতে গন্ডগোল হবে তা তিনি আগাম বলে দিচ্ছেন। পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করে রিষড়া (Rishra) নিয়ে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের জন্য বলেছি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।