মমতার 'পথশ্রী' কি নামেই? সিঙ্গুরের রাস্তার হাল দেখুন!
উন্নয়নের ঢাক পেটানো রাজ্যে এই হল রাস্তার হাল। নিজস্ব চিত্র
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনে দুর্গাপুজো। আর এই সময়েই অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেল চন্দননগর-রাজারবাথান রুটের অটো। এর জন্য একমাত্র ভিলেন হল বেহাল রাস্তা। চন্দননগর স্টেশন থেকে ১৩ টি অটো চলাচল করে রাজারবাথান পর্যন্ত। এই রাজারবাথান জায়গাটি হল চন্দননগর স্টেশন থেকে পশ্চিম দিকে দিল্লি রোডকে ভেদ করে সিঙ্গুরের দিকে। প্রায় ৯ কিমি দীর্ঘ রাস্তার মধ্যে দিল্লি রোড ছাড়িয়ে বাকি ৫ কিলোমিটারের অবস্থা খুব খারাপ (Roads of Bengal)। এলাকাটি সিঙ্গুর ব্লকের বৈঁচিপোতা গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে। ওই রাস্তার অবস্থা এতই খারাপ যে অটো রুটও বাধ্য হয়ে বন্ধ করে দিয়েছে। মহা সমস্যায় পড়েছেন অটোচালক থেকে ব্যবসায়ী, স্কুলের ছাত্রছাত্রী থেকে সাধারণ মানুষ।
ডেপুটেশন নেওয়ারও কেউ নেই (Roads of Bengal)
এ ব্যাপারে ওই অটোচালকরা বৈঁচিপোতা পঞ্চায়েত অফিসে যান ডেপুটেশন দিতে। কিন্তু সেখানে গিয়েও দেখা মেলেনি প্রধান বা উপপ্রধানের। দুজনের কেউ অফিসে আসেননি। এবিষয়ে ওই অটো রুটের সম্পাদক যীশু চক্রবর্তী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ওই রাস্তা খারাপ (Roads of Bengal)। যাতায়াতের অযোগ্য। গাড়ির চাকা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। পাশ দিয়ে কেউ গেলে তার গায়ে কাদা ছিটকে লাগছে। আমরা গালমন্দ খাচ্ছি। তাই গাড়ি বন্ধ রেখে আমরা অটোচালকরা এসেছিলাম পঞ্চায়েতে। কিন্তু কোনও পদাধিকারীর দেখা মিলল না। উপপ্রধানকে ফোন করলে তিনি জানালেন, রাস্তা যতদিন না ঠিক হবে গাড়ি বন্ধ থাকবে। পুজোর মুখে কঠিন সমস্যায় অটোচালকরা। এখন কী করবে তারা, ভেবে পাচ্ছে না। বলতে হয় পেটের ভাত বন্ধ হয়ে গেল। এদের একটাই প্রশ্ন, আমরা কোথায় যাব। কী খাব।
সেই আশ্বাস (Roads of Bengal)
এ ব্যাপারে বৈচিপোঁতা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান নবকুমার বাগকে ফোনে ধরা হলে তিনি বলেন, রাস্তাটির টেন্ডার হয়ে গিয়েছে। মালপত্রও এসে গিয়েছে। কিন্তু প্রতিকূল আবহাওয়ার জন্য কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। রোদ উঠলেই আমরা কাজ (Roads of Bengal) শুরু করে দিতে বলেছি। জানি এলাকার মানুষের কষ্ট হচ্ছে। আরেকটু ধৈর্য্য ধরতে অনুরোধ করছি। খুব তাড়াতাড়ি রাস্তা তৈরি হয়ে যাবে। যতদিন না হচ্ছে, ততদিন অটো বন্ধ রাখতে বলেছি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।