মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) নারায়ণগড়ে গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে ভাঙন শাসক দল তৃণমূলে। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি, বিদায়ী কর্মাধ্যক্ষ সহ ৩০০ জন তৃণমূল কর্মী। দলের তরফে রাজ্য নেতৃত্বের উপস্থিতিতে প্রাক্তন তৃণমূল কর্মীদের হাতে পতাকা তুলে দিলেন জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, যে সমস্ত নেতাকর্মীরা আজ বিজেপিতে যোগ দিলেন, তাঁদের মধ্যে ২০ জন আজই মনোনয়ন জমা দিলেন বিজেপির পক্ষ থেকে।
নারায়ণগড়ে (Paschim Medinipur) কী ঘটেছে?
উল্লেখ্য, নারায়ণগড়ে (Paschim Medinipur) শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল বার বার প্রকাশ্যে এসেছে সাম্প্রতিককালে। নারায়ণগড়ের গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও প্রকাশ্যে মুখ খুলতে দেখা যায়। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সেই কোন্দল যে কোনও ভাবেই মেটানো গেল না, বৃহস্পতিবারের ঘটনা ফের তা প্রমাণ করল।
বিজেপির বক্তব্য
জেলার (Paschim Medinipur) বিজেপি নেতা লক্ষ্মীকান্ত সাউ বলেন, এলাকায় তৃণমূলের কাজের প্রতিবাদ জানিয়ে ভালো মানুষগুলো বিজেপিতে যুক্ত হয়েছেন। তার কারণ, তাঁরা ভালো করে জানেন, তৃণমূলের শাসনে রাজ্যে গণতন্ত্র নেই। মাত্র ৮ দিন সময়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন চলছে। আমরাও বিরোধী হিসাবে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে লড়াই করছি। তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলে পশ্চিম মেদিনীপুরে বিজেপি শক্তিশালী হল বলে দাবি করলেন এই বিজেপির নেতা।
তৃণমূল বিধায়কের প্রতিক্রিয়া
যদিও এ প্রসঙ্গে নারায়ণগড়ের (Paschim Medinipur) তৃণমূল বিধায়ক সূর্য অট্টর দাবি, আজ যারা বিজেপিতে যোগদান করেছে, তারা এর আগেও বিজেপিতে যোগ দিয়েছিল। পরে অবস্থা অনুকূল নয় বুঝতে পেরে তারা আবার তৃণমূলে ফিরে এসেছিল। দীর্ঘদিন ধরেই তারা দলের সাথে দূরত্ব তৈরি করেছিল। তিনি আরও বলেন, প্রায় চার বছর আগে ২০১৯ সালে ওরা সবাই বিজেপিতে যুক্ত হয়েছিল! এখন আবার এই সময় যুক্ত হল। একই মানুষকে কতবার যুক্ত করবে বিজেপি? এই প্রশ্নের উত্তর বিজেপিই জানে। বিধায়ক আরও বলেন, ওরা বিজেপিতে চলে যাওয়াতে এলাকায় শান্তি ফিরে আসবে। সব মিলিয়ে মনোনয়নের শেষ দিনে যোগদান প্রসঙ্গে রীতিমতো রাজনৈতিক তরজা জারি জেলা জুড়ে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours