Academic Fund: সন্দীপের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক তথ্য সিবিআই-এর হাতে…
ডাক্তারি পড়ুয়াদের ফান্ডের টাকা ঘুরপথে যেত এই তৃণমূল ঘনিষ্ঠ ডাক্তারের পকেটে। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোজাসুজি নয়, একপ্রকার ঘুরপথে টাকা রোজগারের পথ বের করেছিলেন সন্দীপ (Sandeep Ghosh)। আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষের আরও এক কীর্তি ফাঁস হল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে। জানা গেল, ডাক্তারি পড়ুয়াদের ফান্ডের টাকা ঘুরপথে যেত এই তৃণমূল ঘনিষ্ঠ ডাক্তারের পকেটে। আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে নেমে সিবিআই অফিসারদের হাতে এল এমনই চাঞ্চাল্যকর তথ্য। উল্লেখ্য, চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার পর থেকে একাধিকবার জেরা করা হয়েছে তাঁকে। তিনি ঘটনার দিন সঠিক দায়িত্ব পালন না করে কার্যত হত্যাকে আত্মহত্যা বলে ধামাচাপা দিতে চেয়েছিলেন, সামজিক মাধ্যমে এমন অভিযোগে সরব হয়েছেন সাধারণ মানুষ।
সূত্রের খবরে জানা গিয়েছে, সন্দীপ ঘোষ (Sandeep Ghosh) বিভিন্ন কন্ট্রাক্টরদের টাকা দিয়েছেন অ্যাকাডেমিক ফান্ড থেকে। আরজি কর হাসপাতালের জন্য যে টাকা আসত, তা ডাক্তারি পড়ুয়াদের জন্য কলেজে ব্যয় করার কথা। কিন্তু সেই টাকা নিজের কাজে ব্যবহার করে ভোগ করতেন বলে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। একই ভাবে আরও জানা গিয়েছে, যাদের কাছে এই টাকা যেত, তারাও তৃণমূল ঘনিষ্ঠ বা সন্দীপ ঘনিষ্ঠ। প্রথমে টাকা কন্ট্রাক্টরদের কাছে গেলেও পরে তাঁরা সেই টাকা সন্দীপের একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দিতেন। এই প্রসঙ্গে সিবিআই সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্য ভবনকে অন্ধকারে রেখেই চলত এই লেনদেন। এই টাকা এখন কোন কোন খাতে ব্যবহার করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে এখানেও যে বড় রকমের দুর্নীতি হয়েছে, তা নিয়ে যে সন্দেহ নেই, তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে এই তদন্তে।
আরও পড়ুনঃ ‘কেড়ে নেওয়া হোক বিনীতের পুলিশ মেডেল’, রাষ্ট্রপতি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি শুভেন্দুর
সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন আরজি কর মেডিক্যালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। সন্দীপ ঘোষ (Sandeep Ghosh) বেআইনিভাবে বিপজ্জনক বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য বিক্রি করতেন। জিম এবং নিজের চেম্বারের সৌন্দর্যায়নের জন্য কোভিড ফান্ডের অপব্যবহার করছেন। টাকার বিনিময়ে চিকিৎসক-অফিসারদের বদলি করতেন। অযোগ্যদের কাজের বরাত দিতেন। আরও ১৫ রকমের অভিযোগের কথা উল্লেখ করেছিলেন আখতার আলি। সরকারি অর্থের অপচয়, টেন্ডার না ডেকে সরকারি জায়গা খাবারের দোকান, ক্যাফে, ক্যান্টিন, সুলভ শৌচালয়ের জন্য বরাদ্দ করা, ভেন্ডার বাছাইয়ের ক্ষেত্রে স্বজনপোষণ ইত্যাদি নানা কুকর্ম তিনি করতেন। সিভিল এবং ইলেকট্রিক্যাল কাজকর্ম সরকারি সংস্থাকে না দিয়ে তৃতীয় পক্ষকে দিয়ে কাজ করাতেন। ইচ্ছাকৃতভাবে অর্ডার ভেঙে এক লক্ষ টাকার নীচে যাতে থাকে এবং ই-টেন্ডারকে এড়ানো যায়, সেই কাজ করতেন। রাজ্য সরকার এবং কলকাতা পুরসভাকে এড়িয়ে, বেআইনিভাবে ২ চাকার গাড়ি পার্কিং-এর বেনামি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।