যে নুসরত বলেছিলেন, সমস্যায় পড়লে জানাবেন, সেই তিনিই ধরাছোঁয়ার বাইরে.....
সাংসদ নুসরত জাহান (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েকদিন ধরে অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের লাগামছাড়া অত্যাচারের বিরুদ্ধে ফুঁসছে সন্দেশখালি। মহিলাদের ওপর নির্যাতনের কথা শুনলে হাড়হিম হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা। এই পরিস্থিতিতে সেখানকারই সাংসদ, একজন মহিলা, তিনি কোথায়? কোথায় বসিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহান? সেখানকার মানুষরা এবার সাংসদের বিরুদ্ধেই মুখ খুলছেন। অভিযোগ করছেন, এত সবের পরও নুসরত জাহানের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাঁর ফোন সুইচ অফ।
সাংসদকে নিয়ে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) প্রত্যন্ত গ্রামের মহিলারা বিস্ফোরক সব অভিযোগ করছেন। রাতবিরেতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে নিগ্রহেরও অভিযোগ উঠছে। গ্রামের এক মহিলা বলেন, "নুসরত জাহানকে তো ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না। ফোন বন্ধ করে রেখেছেন। আমরা তো অন্য পার্টি করি না। আমরা টিএমসি পার্টিই করি। ভোট দিই টিএমসি- কে। না দিলে তো হবে না। আমরা না দিলেও ভোট পড়ে যায়।" সাংসদ গ্রামে শেষ কবে এসেছেন, স্মৃতি হাতড়েও মনে করতে পারছেন না গ্রামের মহিলারা। গ্রামের আরেক মহিলা বলেন, "সাংসদকে আমাদের সমস্যার কথা বলতে গেলে শোনেন না তো! অনেক দিন আগে এসেছেন। দু-তিন বছরেরও বেশি আগে এসেছিলেন। একেবারে বাড়ির মেয়ের মতো আমাদের কাছে এসে কথা বলেন। কাউকে মা সম্বোধন করেছিলেন। সব সময় পাশে থাকার কথা বলেছিলেন। কিন্তু, সমস্যায় পড়লে জানানোর কথা বলেছিলেন। এখন নিজেই ধরাছোঁয়ার বাইরে। আর এক মহিলা বলেন, নিজের জন্য তিনি সাংসদ হয়েছেন। আমাদের মতো অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে তিনি সাংসদ হয়নি।
সন্দেশখালিজুড়ে (Sandeshkhali) তোলপাড় চলছে। একবারের জন্য এই মাটিতে পা দেওয়ার প্রয়োজনবোধ করেননি সাংসদ নুসরত জাহান। কেবল অডিও বার্তায় নুসরত বলেছেন, "আমি আগুনে ঘি ঢালব না। আমি সংসদের কাজে দিল্লিতে ছিলাম। কিছুদিন আগে ফিরেছি। দিল্লি থেকে ফিরে নিজের কাজে ব্যস্ত ছিলাম। তবে, প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছি। প্রশাসনকে সবরকমভাবে সাহায্য করছি।
"দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।