ইডির উপর শাহজাহান বাহিনীর আক্রমণের দুই মাস পর সরানো হল ওসিকে...
বাঁ দিকে অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালি এবং ডান দিকে ওসি বিশ্বজিৎ সাঁপই। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ডের (Sandeshkhali) প্রায় দুই মাস পর থানার ওসিকে বদল করা হল। এই সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতাদের অত্যাচার, জবর দখল, জমি লুট, হিন্দু বউদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ সহ একাধিক ঘটনায় পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি, ঠিক এমনটাই জানিয়েছেন এলাকার মানুষ। এলাকার মানুষের আরও বক্তব্য, অভিযোগ করতে গেলে, পুলিশ পালটা গ্রামের মানুষকে শাহজাহান-শিবু-উত্তম-সিরাজের কাছে অনুমতি নিতে বলত। এমনকী এলাকার মানুষের নামে পুলিশ মিথ্যা মামলা দিয়ে এলাকার মানুষকে অত্যাচার করত। আজ সন্দেশখালির অত্যাচারী তৃণমূল নেতা সিবিআই-য়ের অধীনে রয়েছে। এই অবস্থায় থানার ওসি বদলে শোরগোল পড়েছে। নতুন ওসির দায়িত্বে এসেছেন গোপাল সরকার।
শনিবার সকালে বসিরহাট পুলিশ জেলা সুপারের তরফ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এই ওসি বদলের কথা জানানো হয়েছে। এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সন্দেশখালি থানার ওসি বিশ্বজিৎ সাঁপুইকে বদলি করা হয়েছে বসিরহাট থানায়। সন্দেশখালি (Sandeshkhali) থানার নতুন ওসি হলেন গোপাল সরকার। তিনি আগে বসিরহাট পুলিশের জেলা স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের ওসি ছিলেন। বাদুরিয়া থানার ওসি প্রশান্ত মণ্ডলকে হেমনগর কোস্টাল থানায় পাঠানো হয়েছে। এদিকে বসিরহাট পুলিশ জেলায় আইন শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা মোট ৪ জন সাব ইন্সপেক্টরকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সন্দেশখালি (Sandeshkhali) পুলিশের বিরুদ্ধে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করে বলেন, “তৃণমূলের অত্যাচারী নেতা শেখ শাহজাহানকে নিরপাদ আশ্রয়ে রেখে দিয়েছিল পুলিশ।” ইডির উপর হামলার ৫৬ দিনের মাথায় পুলিশ শাহজাহানকে গ্রেফতার করেছিল। এরপর আইনি টানাপোড়নে অবশেষে সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন শাহজাহান। সেই সঙ্গে বার বার দফায় দফায় শাহজাহানের সরবেড়িয়ার বাড়িতে তাল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। একই ভাবে এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা এবং দুস্কৃতীদের দৌরাত্ম্য আটকাতে নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেছে। কিন্তু ভোটের মুখে এই ওসি বদল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এই বদলে মানুষের রাগ কতটা প্রশমিত হয়, সেটাই এখন দেখার।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।