Abhaya: শান্তিপুরের হাসপাতালে থ্রেট কালচার, সুপারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ মহিলা চিকিৎসকের
শান্তিপুর হাসপাতালে থ্রেট কালচারের অভিযোগ (নিজস্ব চিত্র)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথা না শুনলে দ্বিতীয় অভয়া করে দেব। মহিলা চিকিৎসককে হুমকি সরকারি হাসপাতাল সুপারের। চরম আতঙ্কে অবশেষে স্বাস্থ্য দফতর এবং পুলিশের দ্বারস্থ হলেন ওই মহিলা চিকিৎসক। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে (Santipur Hospital)। ওই মহিলা চিকিৎসকের নাম সুকন্যা রায়। তিন মাস আগে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে প্যাথলজি বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট হিসেবে কাজে যোগ দেন তিনি।
মহিলা চিকিৎসের (Santipur Hospital) অভিযোগ, "কাজে যোগদানের পর থেকেই হাসপাতাল সুপার তারক বর্মন আমার ওপর বিভিন্নভাবে মানসিক নির্যাতন করতেন। আমি প্যাথলজি বিভাগে কাজ করলেও আমাকে জোর করে জরুরি বিভাগে কাজ করাতে বাধ্য করতেন। পাশাপাশি নাইট ডিউটি জোর করে করাতেন। আমি প্রতিবাদ করতে গেলে আমাকে হুমকি দিতেন হাসপাতাল সুপার। আমি নাইট ডিউটি করতে অস্বীকার করলে, আমাকে দ্বিতীয় অভয়া করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।" এরপরেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ওই মহিলা চিকিৎসক। নিরুপায় হয়ে স্বাস্থ্য দফতর এবং থানার দ্বারস্থ হন তিনি। শান্তিপুর থানায় অভিযুক্ত তারক বর্মনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা চিকিৎসক। তিনি চাইছেন অবিলম্বে তাঁকে যেন এই হাসপাতাল থেকে অন্যত্র বদলি করে স্বাস্থ্য দফতর।
আরও পড়ুন: ৪ বছরের মধ্যে ৫০ হাজার কোটির প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি লক্ষ্য ভারতের, জানালেন রাজনাথ
ওই মহিলা চিকিৎসকের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শান্তিপুর হাসপাতাল (Santipur Hospital) সুপার তারক বর্মন। তিনি বলেন, "ওই মহিলা চিকিৎসক আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।" পাশাপাশি তিনি বলেন, "এ বিষয়ে সম্পূর্ণভাবে যা বলার জেলা স্বাস্থ্য অধিকর্তা বলবেন।" অন্যদিকে ওই মহিলা চিকিৎসকের অভিযোগের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন জেলা স্বাস্থ্য অধিকারিক জ্যোতিষ চন্দ্র দাস। তিনি বলেন, "আমি ওই মহিলা চিকিৎসকের অভিযোগ হাতে পেয়েছি। ইতিমধ্যেই তা জেলা স্বাস্থ্য দফতরে পাঠিয়ে দিয়েছি। তবে ওই মহিলা চিকিৎসক নিজেও মানসিক রোগের ওষুধ খান। আমি জানিয়েছি, ওই চিকিৎসককে স্বাস্থ্য দফতর অন্যত্র স্থানান্তরিত করলে আমার কোনও আপত্তি নেই।"
বিজেপি নেতা সোমনাথ কর বলেন, "আমি প্রশাসনকে অনুরোধ করব, যাতে পুরো বিষয়টি (Santipur Hospital) তদন্ত করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এই থ্রেট কালচার দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে।"
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।