ভাঙড়কে অগ্নিগর্ভ করার পুরস্কার পেলেন শওকত মোল্লা!
শওকত মোল্লা (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ বেলার মনোনয়নেও (Panchayat Election) অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল ভাঙড়। রাজনৈতিক সন্ত্রাসের বলি হয় ৩টি প্রাণ। আরাবুলকে ছাপিয়ে শাসক দলের সন্ত্রাসের মুখ হয়ে ওঠেন শওকত মোল্লা। এবার সেই শওকতকে জেড ক্যাটিগরির নিরাপত্তা দিল রাজ্য় সরকার। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিরোধীদের কটাক্ষ, ভাঙড়কে অগ্নিগর্ভ করার পুরস্কার পেলেন শওকত। প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) মনোনয়নকে ঘিরে ভাঙড় অগ্নিগর্ভ হয়। সেই সমসয় স্থানীয় মানুষজন ধরে ফেলে এক বন্দুকবাজকে। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, ওই বন্দুকবাজ বলছে, ‘‘আমাকে নগদ পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে এনেছে শওকত মোল্লা।’’ শনিবার ভাঙড়ে গিয়ে রাজ্যপালও জিজ্ঞেস করেন, “হু ইজ শওকত মোল্লা (শওকত মোল্লা কে)?" তাঁর সঙ্গে থাকা অফিসাররা উত্তর দিয়েছিলেন, শওকত ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক।
অগ্নিগর্ভ ভাঙড়
পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্বে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে ভাঙড়। লাঠি-সোটা থেকে শুরু করে গুলি-বোমাবাজি, মৃত্যু কিছুই বাদ যায়নি। জানা গিয়েছে, দলীয় বৈঠকেই তৃণমূলের তরফে স্পষ্ট করা হয়, ভাঙড়ের দায়িত্ব থাকছে শওকত মোল্লার উপর। পাশাপাশি বিধাননগরের চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্তকেও দেখভাল করতে বলা ভাঙড়।
শুক্রবার ভাঙড় পরিদর্শন করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস
এদিকে, শুক্রবার ভাঙড় পরিদর্শন করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেখানে গিয়ে তিনি বিজয়গঞ্জ বাজার ঘুরে দেখেন। স্থানীয়দের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। রাজ্যপালের কাছে নালিশ জানিয়ে স্থানীয়রা বলেন, ভয় দেখিয়ে, পথ আটকে তাঁদের মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হয়নি। ক্যানিং থেকে গাড়ি করে দুষ্কৃতীরা ভাঙড়ে ঢুকেছিল। ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লার নেতৃত্বে দুষ্কৃতীদের ওই বাহিনী ভাঙড়ে ঢুকে দাপিয়ে বেড়িয়েছে বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। রাজ্যপাল ভাঙড় ২ নং বিডিও অফিসেও ঢুকে যান সেদিন। সেখানে কর্তব্যরত আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবারই এই ভাঙড় (Bhangar) ২ বিডিও অফিস কার্যত দুষ্কৃতীদের দখলে চলে গিয়েছিল। বিডিও অফিসের গেট আটকে রেখে ভিতরে চলে মনোনয়ন জমার পর্ব। মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি বিরোধীরা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।